মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পোস্ট কার্ডে চিঠি লিখলেন শতাধিক মহিলা মৎস্যজীবি। সমুদ্র সাথী প্রকল্প রূপায়ণের দাবিতে এদিন পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যজীবী ফোরামের মহিলা শাখা এমন উদ্যোগ নিয়েছে। জানা গেছে আগামী এক সপ্তাহ ধরে এই উদ্যোগ চলবে।
এই দাবিতে মৎস্য দফতরের সহ মৎস্য অধিকর্তা মেরিন সুমন সাহার অফিসেও বিক্ষোভ দেখান এই মৎস্যজীবি মহিলারা। সমুদ্র সাথী প্রকল্পের টাকা পেতে কাঁথির মৎস্য দফতরে আবেদনও জানান আন্দোলনকারী মহিলারা।
প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত, সমুদ্রে সরকারিভাবে মাছ ধরা নিষিদ্ধ।
কারণ এই সময় সামুদ্রিক মাছের প্রজনন কাল। ফলে দুই মাসের ব্যান পিরিয়ডের সময় দরিদ্র মৎস্যজীবীদের সংসার চলবে কি করে ? তাই ২০২৪-২০২৫ সালের বাজেট পেশ করার সময় মৎস্যজীবিদের জন্য সমুদ্র সাথী প্রকল্প শুরু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের অর্থ দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
এই প্রকল্পে ৫ হাজার টাকা করে ২ মাসের জন্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রকল্পের সুবিধা না পেয়ে হতাশ মৎস্যজীবীরা।
দুই বছর কেটে গেল। ঘোষণা মত সমুদ্র সাথী প্রকল্পের অনুদান মিলল না। কবে অনুদান মিলবে? কিংবা আদৌ টাকা মিলবে কিনা – সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহিলা মৎস্যজীবীরা। এই টাকা পাওয়ার জন্য আগেও একবার মৎস্য দপ্তরে ডেপুটেশন দিয়েছেন মৎস্যজীবীরা।
কিন্তু কোন সুফল মেলেনি বলে অভিযোগ। এবার মৎস্য দপ্তরে বিক্ষোভ দেখানোর সময়েও সহ মৎস্য অধিকর্তা ছিলেন না। তবে এই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করার আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক।
মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ও আন্দোলনের ফলে শেষ পর্যন্ত সমুদ্রসাথী প্রকল্প বাস্তবের মুখ দেখে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়!