মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে এগরার খাদিকুলে স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ালেন মানস ভুঞ্যা-দোলা সেনেরা।যদিও গ্রামে ঢোকার আগে গ্রামের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের।তৃনমূল প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে আসার আগে সেখানে যান রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার সাহারা পঞ্চায়েতের খাদিকুল এলাকায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে । এখনো অবধি মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের । গুরুত্বর আহত আরো কয়েক জন । ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি ।
বুধবার বেলা একটা নাগাদ এগরার খাদিকুলে পৌঁছয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।তবে তার আগে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী।অভিযোগ তৃনমূলের প্রতিনিধি দল গ্রামে ঢোকার সময়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা হয়।আরো অভিযোগ বিজেপি ও সিপিএমের কয়েক জন সমর্থক পরিকল্পিত ভাবে চেষ্টা করে যাতে তৃনমূলের প্রতিনিধি দল দুর্ঘটনায় স্বজনহারাদের কাছে পৌঁছাতে না পারে।
যদিও এই বিক্ষোভকারীদের পাত্তা না দিয়েই নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের কাছে যান দোলা সেন, মানস ভুঞ্যা,বিপ্লব রায় চৌধুরী সহ স্থানীয় বিধায়ক ও অন্যান্যরা। তাঁরা কথা বলেন সকলের সঙ্গে। তৃণমূল নেতৃত্বকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন।
মানস ভুঞ্যা বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি । নিহত এবং আহতদের পরিবারের পাশে আমরা আছি।সরকার ও প্রশাসন আছে । বলেন রাম-বামের কয়েকজন চায়নি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা এই মানুষ গুলোর কাছে পৌছাক । তাই গণতান্ত্রিক অধিকার নাম করে কিছু লোক চিৎকার করছিল। অকারণে শান্তি বিঘ্নিত করতে চেয়েছে ওরা। আমরা কোনও প্ররোচনায় পা দিইনি।
এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন দোলা সেনেরা ।তাঁদের আশ্বাসে খানিকটা স্বস্তি পেয়েছে স্বজনহারাদের পরিবার গুলি দাবি তৃনমূল নেতৃত্বের।