ভারত – ফ্রান্স সংযোগে তৈরী মিউজিকল ফিল্ম যা গত বছর শ্রোতাদের বিস্মিত করে দিয়েছিল, সম্প্রতি মনোনীত হল ইংল্যান্ডের ‘লিফ্ট অফ ফিল্মমেকার সেশন’ ফিল্ম ফেস্টিভালে ২০২৩ এর জন্য। পৃথিবীর দুই প্রান্তে থাকা দুই বন্ধুর দুটি রবি ঠাকুরের গান নিয়ে তৈরী পরীক্ষামূলক প্রজেক্ট যা সঙ্গীত জগতে এক অসাধারণ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, এবার স্থান পেলো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। ইন্দো-ফরাসি যুগলবন্দী সৌমিতা সাহা এবং ফরাসি সঙ্গীতশিল্পী গ্রেগ সউজেটের রবি গানের উপর এই মিউজিক ভিডি গুলি যেন কবিগুরুর ফরাসি সংযোগ কে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। সাত সমুদ্র এবং তেরো নদীর পারে সুদূর ফ্রান্সের পোইটিয়ার শহর নিবাসী গ্রেগ সউজেট এবং তার ভারতীয় বন্ধু সৌমিতা সাহা মোট দুটি গানের জন্য করেন এই যুগলবন্দী । উভয় মিউজিক ভিডি প্রকাশিত হয় মেলো টিউনস রেকর্ডস থেকে, ভিদেওর ভিডিওগ্রফির কৃতিত্ব সম্পূর্ণ সৌমিতার তৎকালীন বাগদত্ত অর্থাৎ বর্তমানের স্বামী অগ্নিভ চ্যাটার্জির । দুটি ভিডিওই আংশিকভাবে ফ্রান্সের পোইটিয়ারে শ্যুট করা হয়েছে, আংশিকভাবে মহারাষ্ট্র, দক্ষিণ বঙ্গের সামুদ্রিক অঞ্চল ও কলকাতায় শ্যুট করা হয়েছে।

গত বছরের ফেবরুয়ারিতে প্রকাশ পায় গ্রেগ ও সৌমিতার প্রথম কাজ রবি ঠাকুরের গান ” ও যে মানে না মানা ” , শ্রোতাদের অপরিসীম ভালোবাসায় গ্রেগ – সৌমিতা যুগলবন্দী ফিরে আসে বন্ধুত্বের উদাপনের গান ” আয় তবে সহচরী ” নিয়ে। তাদের এই দৃষ্টান্ত মূলক সাঙ্গীতিক সাহচর্যের উদযাপনে আবারও যোগ দেন সৌমিতার স্বামী অগ্নিভ চ্যাটার্জী। অগ্নিভ ও সৌমিতার যৌথ নির্দেশনায় প্রকাশিত দুটি ভিডিও ক্যামেরা বন্দি করেন অগ্নিভ পেশায় স্থপতি সৌমিতার স্বামী অগ্নিভ পেশায় সফ্ট ওয়েয়ার ইঞ্জিনিয়ার হলেও ক্যামেরার কাজে পটু। ফিল্ম ফেস্টিভেলে নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে সৌমিতা জানান ” পোইটিয়ার আর কলকাতার মধ্যে দূরত্ব প্রায় আট হাজার ষাট কিলোমিটার, এই দূরত্বের সেতু বন্ধন রবি ঠাকুরের গান দিয়ে করেছি আমরা। গ্রেগ বাংলা ভাষা শিখেছে এই প্রজেক্টের জন্য। আমার বন্ধু বলে বলছিনা গ্রেগ অত্যন্ত গুণী শিল্পী। এই যৌথ প্রয়াস আন্তরজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে স্থান পাওয়া আমাদের জন্য অনেক বড় পাওনা। “
