কেকা আইচ:-দত্তপুকুর দৃষ্টি নাট্য সংস্থা ১৭ তম বছরে পদার্পণ করলো। যা শুরু হয়েছিল ২০০৬ সাল থেকে। সেই সময় ১৫ আগষ্ট এই অনুষ্ঠানটির নামছিল ‘ছয় দল এক দিন’। তারা দত্তপুকুর এবং দত্তপুকুরের বাইরে বিভিন্ন স্থানে এই অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে এসেছে। এই বছর স্যালুট ডে উদযাপন হয়েছে দত্তপুকুর বুলবুল কমিউনিটি হলে।
অনুষ্ঠান চলেছে সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত। সংগীত শিল্পী অরুন পাল এর উদ্বোধনী সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। একদিনের নাট্য উৎসবে এইদিনের প্রথম দত্তপুকুর দৃষ্টি’র প্রথম প্রযোজনা ” জোনাকিরা’ মঞ্চস্থ হয়। নির্দেশনা ঐশী ভট্টাচার্য।
দ্বিতীয় প্রযোজনাটি ছিলো বসিরহাট কিংশুক নাট্য দলের নাটক ” ময়নামতীর ইতিকথা”। নির্দেশক মুকুন্দ চক্রবর্তী। তৃতীয় প্রযোজনা ছিলো হাবড়া নান্দনিকের নাটক ” বড় খবর” নির্দেশক দেবব্রত দাস। এই ছিল প্রথমার্ধের অনুষ্ঠান পর্ব। মধ্যাহ্ন ভোজনের পর দ্বিতীয়ার্ধে ছিলো সাংবাদিক বৈঠক ও সম্মাননা পর্ব ।
এরপর চতুর্থ প্রযোজনা ইমন মাইম সেন্টার এর “মূকাভিনয়” । নির্দেশক ধীরাজ হাওলাদার।এরপর মঞ্চস্থ হয় গোবরডাঙা নাবিক নাট্যমের “অথ বৃষ মঙ্গলকথা”। নির্দেশক জীবন অধিকারী এবং ষষ্ঠ অর্থাৎ শেষ প্রযোজনা টি ছিলো দত্তপুকুর দৃষ্টি’র “অথঃ কন্যা কথা” নির্দেশক গার্গী ভট্টাচার্য। নাটকের পর্ব শেষ হওয়ার পর সমস্ত নাট্য দলের নির্দেশক দের স্মারক সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন দত্তপুকুর দৃষ্টি’ র সদস্যবন্ধু সুমন চ্যাটার্জী । অনুষ্ঠানের শেষে দত্তপুকুর দৃষ্টি র কর্নধার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য জানান আগামী বছর স্যালুট ডে আরও বৃহৎ আকারে পালিত হবে দত্তপুকুর দৃষ্টি র নবনির্মিত নিজস্ব মহলাকক্ষে। এইদিন স্যালুট ডে র একদিনের নাট্য উৎসব জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয় ।