প্রদীপ কুমার মাইতি:-পূর্ব মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকদের পুজোর সময় ঘুরতে না গিয়ে এলাকার মানুষদের পাশে থাকার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি বলেন, পুজোর সময় বাংলার বিভিন্ন জেলায় বাইরে থেকে লোক আসেন
এই সময় বাইরে ঘুরতে না গিয়ে তাঁদের এবং এলাকার মানুষদের সুবিধা, অসুবিধা দেখুন। আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা আবহাওয়া খারাপ থাকলেও নিজেদের এলাকাতেই থাকুন আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। তারপরেই বলেন, ‘এই একটা মাত্র কারণেই আমি পুজো বা আবহাওয়া খারাপ থাকলে কলকাতা ছেড়ে কোথাও বেরোই না’। এদিন প্রশাসনিক সভা থেকে তিনি উদ্বোধন করেন একাধিক প্রকল্পের।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর ইচ্ছে ছিল দিঘাতে গিয়ে উদ্বোধন করার। তবে আবহাওয়া খারাপের সময় আধিকারিকদের নিজেদের এলাকায় থাকা উচিত্। এই কারণেই তিনি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করছেন মেরিন ড্রাইভের।
বলেন, ‘আমার দিঘা সুন্দরী হয়ে গিয়েছে। তাজপুরও হচ্ছে’। এদিন তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ, ময়না ব্রিজ সহ মোট ৪০ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন তিনি। জানা গিয়েছে, সমস্ত প্রকল্প মিলিয়ে মোট বরাদ্দ ৮৪৫ কোটি টাকা।

তাঁর নির্দেশ, দিঘার ক্ষেত্রে বাড়ানো হোক ১০০ দিনের কাজের পরিমাণ। ‘দিঘা সুন্দরী’কে এভাবেই প্রতিদিন তিনবার করে পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর নির্দেশ, অনেক ক্ষেত্রে পুজোর অনুদান থেকে বাদ পড়ে যায় অনেক পুরানো ক্লাব। তাঁদের প্রতি প্রশাসন যেন সহানুভূতিশীল হয়। পুজোর সময় বিদ্যুত্ পরিষেবা এবং পরিবহণেও বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। পথ দুর্ঘটনা আটকাতে ডিজি ট্রাফিককে এদিন তাঁর নির্দেশ, ব্লকে ব্লকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার। হাতির হানায় কারও মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা, আরও একবার করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেই সঙ্গে বলেন, ‘উত্কর্ষ বাংলা’র আওতায় কারিগরি শিক্ষা থেকে জব ফেয়ারের আয়োজন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সরকারি দফতরে আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ পাঠ ব্যবস্থার।

তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরকে তাঁর নির্দেশ, স্থানীয় সংবাদপত্রকে বেশি করে বিজ্ঞাপণ দেওয়ার জন্য। এদিন তিনি বলেন, দিঘা আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হয়েছে। এরপরে তাজপুরও হবে।
বৃহস্পতিবার তিনি খড়গপুর শিল্পতালুক (বিদ্যাসাগর) থেকে চাকরিপ্রার্থীদের হাতে তুলে দেবেন নিয়োগপত্র। এদিন জেলাপ্রশাসনের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, চাকরিপ্রার্থীদের জন্য কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার জন্য।
