প্রদীপ কুমার সিংহ
কেন্দ্রীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পশ্চিমবাংলার এস আই আর হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই এস আই আর আগামী ৪ই নভেম্বর থেকে শুরু হবে বিভিন্ন এলাকায়। বারূইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তগত বারুইপুর রবীন্দ্র ভবনে রবিবার দুপুরে বারূইপুর পশ্চিম তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচালনায় এস আই আর এর পর্যালোচনা এবং বি এল এ টু প্রশিক্ষণ শিবির হয়। বাড়ির পূর্ব পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের মোট ২৭৯ টি বুথ। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বারইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী দপ্তরের কর্মদক্ষ জয়ন্ত ভদ্র, বারুইপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান শক্তির রায়চৌধুরী ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস বারূইপুর পৌরসভার প্রত্যেকটি পৌরপিতা ও পৌর মাতা গন এবং বারূইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান সদস্য, সদস্যা ২৭৯ টি বুথের বি এল এ টু সেই সঙ্গে আইপ্যাক এর ও কয়েকজন। মূলত এই অনুষ্ঠানে আলোচনা হয় প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌরসভার এলাকার প্রত্যেকটি পৌরপিতা পৌর মাতা তাদের এলাকায় একটি করে ক্যাম্প করতে হবে। ভোটার লিস্টে যাতে মানুষের নাম ওঠে , সেই দিকে ব্যবস্থা করতে হবে বি এল এ টুদের। ফাইনাল যে ভোটার লিস্ট বেরোবেথ স্যার তার পুরোটাই দায়িত্ব থাকবে বি এল এ টু র। কারোর কোন অসুবিধা হলে বিধায়ক পদাধিকার যারা রয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা সবসময় করতে হবে। প্রত্যেক মানুষের বাড়িতে যেতে হবে প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বি এল ও যে বাড়িতে যাবে বি এল এ টু কে একইসঙ্গে সেই বাড়িতে যেতে হবে। একই পরিবারে যদি পাঁচ জন ভোটার থাকে তিনজন উপস্থিত থাকলে দুজন যদি বাইরে কোথাও চলে যায় তাহলে তাদের ফরম ফিলাপ করে রাখতে হবে। যারা থাকবে না তাদের পরে হেয়ারিং এর সময় ডাকা হবে। কোন ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায় বিরোধীরা চাইবে না ভোটারের নাম বাদ দিতে সেই জায়গাটায় বি এল এ টুর সতর্ক থাকতে হবে। যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি বড় যেমন মল্লিকপুর হরিহরপুর মাদরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে দুটি করে ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। এই ক্যাম্প শুরু হবে ৪ই নভেম্বর থেকে তার শেষ হবে ৪ই ডিসেম্বর। ৯ ডিসেম্বর একটা ভোটের খরচা তালিকা প্রকাশিত হবে। সেই তালিকা থেকে যাদের নাম বাদ যাবে তাদেরকে আবার তালিকায় ঢোকাতে হবে। ৭ই ফেব্রুয়ারি ফাইনাল ভোটার লিস্ট বের হবে। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন প্রত্যেক বি এল এ ২ কে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে যাতে প্রত্যেক ভোটারে লিস্টে নাম তোলা যায়। নির্বাচন কমিশনারের বি এল ও কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সঙ্গে থাকতে হবে। প্রত্যেকদিন ৫০ টা করে ফর্ম বার হবে সেইগুলি ফিলাপ করে জমা দিতে হবে। বি এল এ টু দের কাজ থাকবে বি এল এ প্রত্যেক বাড়িতে প্রত্যেক ভোটারে ফরম ফিলাপ করছে কিনা এবং তাতে সই করছে কিনা। যদি সই না করে তাহলে সেই ফোন কিন্তু গ্রাহ্য হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছে এই তিন মাস যেন প্রত্যেক ভোটারের বাড়িতে যেতে হবে এবং তাদের ফরম ফিলাপ করে জমা দিতে হবে। এটা বাংলার ভোট রক্ষার লড়াই।





