শ্রমিক শ্রেণীর তীব্র আন্দোলনের ফলে শ্রম কোড আইন লাগু করতে পারছিল না কেন্দ্রের সরকার। বিহারের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর পর সেই আইন কার্যকরী করার নোটিশ জারি করেছে শ্রমিক শোষণকারী বিজেপির এনডিএ সরকার। শুক্রবার নোটিশ জারির সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশের শ্রমিক শ্রেণী। সেই তীব্র ক্ষোভের আঁচ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি শহরে জ্বলে উঠলো।

ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল এন্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউনিয়নের সদস্যরা কাঁথি স্কুল বাজারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির সাথে সাথে এই শ্রম কোড আইনের কপি পুড়িয়ে ফেলল, কাঁথি শহরের ডাক্তারপাড়ায় অর্থাৎ কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল রোড এবং ওষুধ দোকানগুলোর সামনে। ডব্লিউ বি এম এস আর ইউ সংগঠনের সদস্যরা জড়ো হয়ে একটি মিছিল বের করে ৪টি শ্রম কোড লাগু করার বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন।
সংগঠনের জেলা সভাপতি মিঠুন চক্রবর্তী জানান এই শ্রম কোড চালু হওয়ার ফলে আমরা যারা ওষুধ বিপণনের সঙ্গে যুক্ত তাদের যে কোন মুহূর্তে কাজ চলে যেতে পারে, অধিক মুনাফাখোরদের হাতের পুতুলের মত থাকতে হবে ।শ্রমিক তার কাজের স্থায়ীকরণ করতে পারবে না ।মালিক এক মাস ,তিন মাস ,এগারো মাস কাজ করানোর পর ছাটাই ও করতে পারেন ,চাইলে বারো ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করাতে পারে। এর প্রতিবাদে কর্মচারীরা লেবারকোটে যেতে পারবে না। দাবি করেন, এস পি ই এ্যক্ট ১৯৭৬ বহাল রাখতে হবে। যার ফলে শ্রমিক তার নিজস্ব দাবি গুলো লেবার কোর্টৈ উপস্থাপন করতে পারে। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন ডব্লিউ বি এম এস আর ইউ জেলার সহ-সভাপতি তমাল সরকার, কাঁথি লোকাল কমিটির সম্পাদক গৌতম সিংহ ,সুবর্ণ শংকর জানা ,পার্থপ্রতিম মাইতি ,পথিক দিন্ডা এবং সুদীপ সিংহ রায়। ছিলেন সি আই টি ইউ নেতা জয়দেব পন্ডা





