Select Language

[gtranslate]
২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বৃহস্পতিবার ( ১৩ই মার্চ, ২০২৫ )

শুভেন্দুর গড়ে সমবায় নির্বাচনে তৃণমূলের জয়, খাতা খুলতে ব্যর্থ বিজেপি

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘গড়ে’ ধরাশায়ী বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার  এগরার আলংগিরি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জয়জয়কার তৃণমূল প্রার্থীদের। ১২টি আসনের বারোটি আসনই দখল করলো শাসকদল। তবে আগেই দু’টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে রাজ্যের শাসকদলের মনোনীত প্রতিনিধিরা। কিন্তু এদিন দশটি আসনে নির্বাচন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় এগরা ১ ব্লকের আলংগিরিতে নির্বাচন শুরু হয়। বিকেল না গড়াতেই সব কোটি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। মোট আসন সংখ্যা ১২ টি। মোট  ভোটার ছিল ৩৯৩। ভোট পড়েছে ৩৮০ টি।
নিজের গড়েই হেরে চলেছে বিজেপি। সেই হার এবারও অব্যাহত রইল।
যদিও এই হার মেনে নিতে চায়নি গেরুয়া শিবির।
এখানে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি মুখোমুখি লড়াই হয়েছে। ভোট গণনার পর দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেস ১২ টি আসন জিতেছে। বিজেপি কার্যত খাতা খুলতেই পারেনি।
এই ভাবে পর পর সমবায় নির্বাচনে পরাজয় বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আগেই বেশ কয়েকটি সমবায় নির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। আর এখানে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পুরসভার নির্বাচনেও হেরেছে বিজেপি। তার আগে বা পরে সমস্ত নির্বাচনেই হারতে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। এই বিষয়ে  জেড়থান অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি শান্তনু মাইতি বলেন ‘‌এই জয় থেকেই এটা প্রমাণ হয় যে, মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। উন্নয়নের সঙ্গে আছে’।  তবে পূর্ব মেদিনীপুরে ধীরে ধীরে সংগঠন কি দুর্বল হচ্ছে বিজেপির? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী সম্প্রতি এই এলাকায় কয়েক দিন আগে বেশ কিছু বিজেপির ব্লক স্তরের নেতা তৃণমূলে যোগদান করেছিল। পাশাপাশি বিজেপির জেতা এগরা ২ পঞ্চায়েত সমিতিও চলে আসে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে। বছর ঘুরলেই ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন। তাই কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পর এগরার সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিপুল ভোটে ঘাসফুল শিবিরের জয়টা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। তবে এ বিষয়ে এগরা ১ ব্লকের বিজেপির  বিরোধী দলনেতা তাপস কুমার দে জানিয়েছেন, আলংগিরি সমবায় সমিতির নির্বাচনে আমরা পরাজিত হয়েছি। কিন্তু ঐ সমবায় বহুদিন ধরে ওরা (তৃণমূল) দখলে রেখেছে। তাই তাঁরা নিজেদের লোককে বসিয়েছে, নিজেদের নতুন ভোটার তৈরী করেছে। ওরা কোনো রকম উন্নয়ন চায়না, ওরা ভোটের রাজনীতি বোঝে তাই এভাবেই  রাজ্য জুড়ে নিজেদের ভোটার দিয়ে নির্বাচন করে জিতছে। আমরাও চেষ্টা করেছি। সামান্য ব্যবধানে ভোটে হেরেছি। এটা কোন গণভোটও নয়। তবে ছাব্বিশ সালে গণভোট হবে। সাধারণ মানুষ বুঝে গেছে কাকে নির্বাচিত করতে হবে।

Related News