বিজেপি বাংলার গণতন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করছে — এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পিজুস কান্তি পণ্ডা। শনিবার কাঁথি শহরের এক বেসরকারি সভাগৃহে আয়োজিত দলীয় সাংগঠনিক ও বর্ধিত সাধারণ সভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তাঁর দাবি, “বিজেপি ‘ছাব্বিশে চক্রান্ত’ করে বাংলায় বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে। লক্ষমাত্রা একটাই — বাঙালি ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কেটে দেওয়া, যাতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তারা বাংলাকে দখল করতে পারে। আমরা সেই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রতিটি কোণায় আমাদের সহযোদ্ধা ও সহকর্মীদের এলার্ট করে দিচ্ছি। এই সভার মূল উদ্দেশ্যই ছিল সেই সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া।”
বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তীব্র কটাক্ষ
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পিজুসবাবু বিজেপি নেতৃত্বকেও একহাত নেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন,
“তিনি হচ্ছেন কেন্দ্রের হাফপ্যান্ট মন্ত্রী। তাঁরা রাজনীতি বোঝেন না, শুধু বিভ্রান্তি ছড়ানোতেই ওস্তাদ।”
এছাড়াও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন পিজুস কান্তি পণ্ডা। নাম না করেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের উদ্দেশ্যে তাঁর মন্তব্য,
“যারা দল ছেড়ে গিয়েছেন, তারা নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই এখন দিল্লির চারপাশে ঘোরাঘুরি করছে। বাংলার মানুষ তাদের চিনে ফেলেছে।”
দলীয় স্তরে প্রস্তুতি তুঙ্গে
এই বর্ধিত সাধারণ সভায় কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলীয় নেতা, কর্মী ও প্রাক্তন জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সামনে লোকসভা নির্বাচন, সেই প্রেক্ষিতে মণ্ডল ভিত্তিক সাংগঠনিক শক্তি গড়ে তোলার ওপর জোর দেন সভাপতি পিজুস কান্তি পণ্ডা। সভায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং কেন্দ্রের বঞ্চনার চিত্রও তুলে ধরা হয়।
তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ জানে, কে তাদের পাশে আছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই বাংলা আবার প্রমাণ করবে, বহিরাগত রাজনীতিকে এখানে জায়গা নেই।”





