রাজ্য তথা দেশ জুড়ে ক্রমবর্ধমান নারী শিশু ধর্ষণ খুনের প্রতিবাদে “জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা”র আহ্বানে নারী মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকারে ৯ ডিসেম্বর,বেগম রোকেয়া জন্ম- মৃত্যু দিবস থেকে ১৬ ডিসেম্বর, নির্ভয়া দিবস পর্যন্ত অঙ্গীকার যাত্রা আয়োজন হয়েছে। এই উদ্যোগ সফল করতে কাঁথি শহর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বস্তরের মহিলা সহ সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসে সামিল হয়েছে ।

গত এক বছর ধরে কাঁথির ছাত্র জনতা আরজিকরের আন্দোলনের সমর্থনে রাস্তায় থেকেছে। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় “জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা” র উদ্যোগে কাঁথিতে অঙ্গীকার যাত্রার কর্মসূচি খুবই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে বলে দাবি অঙ্গীকার যাত্রা কমিটির।
ইতিমধ্যেই অঙ্গীকার যাত্রীরা শিলিগুড়ি, কোচবিহার,রায়গঞ্জ, পেরিয়ে মালদা পৌঁছেছে।

আজ বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম শহর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে অঙ্গীকার যাত্রীরা শুরু করেছেন পদযাত্রা। কাঁথি অঙ্গীকার যাত্রা প্রস্তুতি কমিটির উদ্যোগে কাঁথি শহরেও এই অঙ্গীকার যাত্রা শুরু হয়েছে। কাঁথি আউটডোর এর কাছে প্রারম্ভিক সমাবেশে কাঁথিবাসিকে আহ্বান করে বক্তব্য রেখেছেন বিমল কুমার দাস।এই যাত্রা আউটডোর থেকে শুরু করে পোস্ট অফিস মোড় ক্যানেলপাড় হয়ে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে এসে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদী কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হয়। কাঁথি শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ কয়েকশ মানুষ এই কর্মসূচিতে শামিল হয়েছে।

কাঁথি থেকে যারা অঙ্গীকার যাত্রী হচ্ছেন তাঁদের হাতে পতাকা এবং ব্যাচ তুলে দিয়ে কাঁথি অঙ্গীকার যাত্রা প্রস্তুতি কমিটি সম্বর্ধনা জানায়। মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখার অন্যতম সদস্য লীনা দাস, ছাত্র যুব নাগরিক মঞ্চের অন্যতম সদস্য কিংশুক সাহা, প্রাক্তন শিক্ষিকা মহামায়া রায়, বেলা দত্ত মানিক, উষা চক্রবর্তী প্রমুখ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষক রথীন্দ্রনাথ পতি, প্রতিবাদ শিক্ষক ঋষিকেশ দাস, শিক্ষক তপন কুমার মন্ডল প্রমুখ।





