অর্পিতা ঘোষ :- সকাল থেকে উপোস করে নিষ্ঠা ভরে পুজো করতে বসেছে দেবলীনা। আজকে তার গোপু সোনার জন্মদিন। সঙ্গে তার মেয়ে রাই সুন্দরীর ও।
আজ জন্মাষ্টমীর দিনেই বারো বছরের অপেক্ষার পর রাই সুন্দরীকে পেয়েছিল শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে।আয়োজন খুবই সামান্য ।নিজের হাতে বানানো লুচি ,তাল ফুরুলি গুলোকে কলাপাতায় সাজিয়ে ঠাকুরকে নিবেদন করতে গিয়ে শুনতে পায় বড় জা এর কথা গুলো”গোপালকে চাইলেই কি পাওয়া যায়।আমি তো গোপালকে রুপোর মুকুট ,সোনার থালায় ক্ষীরের ভোগ দিয়েছি…তবেই না গোপাল আমার ঘরে ছেলে হয়ে এসেছে… যাস রে ছোটো সন্ধ্যে বেলায় আমার ঘরে ।
গোপালকে কেমন সাজিয়েছি,কেমন ভোগ দিয়েছি দেখে আসিস একবার” । “এর বেশি যে আমার সামর্থ্য নেই গো গোপাল ঠাকুর।আমার দেওয়া ভোগ তুমি কি গ্রহণ করবে না ঠাকুর…”চোখের জলে ভক্তিরসে ঠাকুর কে জানায় দেবলীনা ।
সন্ধ্যেবেলায় বড় জায়ের ঘরে গিয়ে দেখে সত্যি অসাধরন সাজিয়েছে গোপালকে। তার জা গোপালের ভোগের থালা টা নিবেদন করতে গেলে হটাৎ ছিটকে পড়ে যায়। কে যেন বলে যায় ” রাধা যেখানে পায় না মান,সেখান থেকে করি আমি প্রস্থান। রাধে কৃষ্ণ” ।
দেবলীনা বলে “দিদি গোপালের ভোগ আবার তৈরি কর, না হলে যে তোমার গোপাল অভুক্ত থাকবে” ।তার বড় জা গোপালের দিকে তাকিয়ে বলে ” না রে ছোট ,গোপাল অভুক্ত নেই।দেখছিস না তোর নিবেদন করা লুচির টুকরো যে গোপালের মুখে…“।
সৌজন্যে – প্রতিলিপি