এতোদিন যে অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তুলেছে বিজেপি,সেই অভিযোগ এবার তাদের বিরুদ্ধে উঠলো। অভিযোগকারীরা আবার বিজেপির কর্মী সমর্থক! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামের।
শনিবার সকালে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের খোদামবাড়ী ২ নম্বর অঞ্চলের রেয়াপাড়ার প্রতি বুথে বুথে এই পোস্টার পড়েছে। আদি বিজেপি কর্মীবৃন্দের নাম করে এই হ্যান্ডবিলও ছড়ানো হয়েছে। এই পোস্টারে লেখা রয়েছে, “
প্রিয় বন্ধুগণ,
আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির আদি বঞ্চিত কর্মীরা এলাকার সাধারন মানুষের জ্ঞাতার্থে একটি বিষয় তুলে ধরতে চাইছি- ফুলবাড়ী নিবাসী শ্রী দেবকুমার দাস মনোহরপুর মৌজায় রেয়াপাড়া-তেরপেখ্যা গ্রামীন সড়কের (পিচ রাস্তার পাশে) পাশে সরকারী জায়গায় প্যান্ডেল করে (যাতে সাধারন লোকের নজরে না পড়ে) ক্যাণেল পাড়ের উপর কংক্রীটের চালাই করে ঘর নির্মাণ করছে। অবৈধভাবে এই ঘর নির্মনের পিছনে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে: ১) শ্রী অখিল কুমার সাউ (গ্রাম সদস্য)
২) শ্রী বিকাশ ভারতী (পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ)
৩) শ্রী নিমাই সাউ
এই অবৈধ নির্মানের কাজে সহযোগিতা করার উপরিল্লিখিত ব্যক্তিরা শ্রী দেবকুমার দাসের কাছ থেকে ১,০০,০০০/- টাকা ঘুষ হিসাবে নিয়েছে। একজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও একজন পূর্ত কর্মাধক্ষ্য কি ভাবে সরকারী জলের পাইপ লাইনের উপর নির্মান কাজের অনুমতি দিতে পারে? এই সকল তোলাবাজ, ঘুষখোরেদের হাতে দলের পরিচালনার দায়িত্ব গিয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আমরা দলের পুরানো দিনের কর্মীরা অনেক লড়াই, আন্দোলন করে দলকে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার চেষ্ঠা করেছি কিন্তু এই সকল দলবদলু ও স্বার্থপরদের হাতে পড়ে দলকে কালিমা লিপ্ত করা হচ্ছে। মাত্র ৬ মাস পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসার পর যেভাবে দলের নাম ভাঙিয়ে তোলাবাজি করা হচ্ছে তা দেখে আমরা যারা আদি কর্মী তাদের লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ।
বিনীত
আদি বিজেপি কর্মীবৃন্দ।”
বিজেপি অবশ্য একে তৃনমূলের চক্রান্ত বলে দাবি করেছে।তৃনমূল বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছে ধীরে ধীরে বিজেপির মুখোস খুলে পড়ছে।এই ঘটনা তারই এক প্রতিফলন