Select Language

[gtranslate]
২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বুধবার ( ১২ই মার্চ, ২০২৫ )

অভিনব পন্থায় পুকুর ভরাটের চেষ্টা

প্রদীপ কুমার সিংহ :- অভিনব পান্থায় পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠল প্রায় এক বিঘা জলাশয়ের দুই প্রান্তে ভিন্ন দুই মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটা বারুইপুর থানার অন্তর্গত বারুইপুর পৌরসভার 17 নম্বর ওয়ার্ডের পাশে।রান্না হওয়া কয়লার ছাই ও রাবিশ দিয়েই পুকুর ভারাটের অভিযোগ উঠল বারুইপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। বারুইপুর রেল ওভারব্রিজে ওঠার মুখে ডানদিকে একটি ধাবার বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠল ধাবার পাশে রান্নার শেষে পোড়া কয়লা ছাই দিয়ে পুকুর ভরাটের চেষ্টার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধাবার মালিক পাতা উদ্দিন লস্কর। তার দাবি রাতের বেলা রান্না হওয়ার পরে কয়লার ছায় নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা সম্ভব নয়, তাই পুকুর পাড়ে সেই ছাই রাখা হয় ও প্রতি সপ্তাহে তা আবার পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পাশাপাশি ওই জলাশয়ের অপর প্রান্তে প্রায় একই কায়দায় ছাই ও রাবিশ দিয়ে পুকুর ভারাটের অভিযোগ উঠল পচা সিপাই নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যদিও পচা সিপাই এর ছেলে অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, পুকুরের পাড় ভেঙ্গে গিয়েছিল সেটা মেরামত করা হচ্ছে। যদিও বারুইপুরের প্রাণকেন্দ্রে রাস্তার পাশেই এভাবে জলাশয় ভড়াটের চেষ্টার গুরুতর অভিযোগের তীব্র সমালোচনা করলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুনিপ দাস। বিরোধীরা স্বরব হলেও পৌর এলাকায় ছাই দিয়ে পুকুর ভরাটের চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বারুইপুর পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান গৌতম দাস। গৌতম দাস বলেন ওইখানে একটি পুকুর ছিল পুকুরের মধ্যে দিয়ে আলপথ ছিল থেকে একটি রাস্তা ছিল। সেই আলপনা এখন অবশ্য খারাপ হওয়া ভেঙ্গে চুরে যাওয়ায় সেখানে রাবিশ ও ছাই ফেলছে দুই পুকুরের মালিক। পুকুর ভরাটের কোন কাজ হচ্ছে না যে খবর দিয়েছে সে ভুল খবর দিয়েছে। পুকুর যদি ভরাট হতো পৌরসভা থেকেই ওই পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করা হত।

Related News