খেজুরী তথা অখন্ড কাঁথি মহকুমার আদি নাট্যকার রসিকচন্দ্র মন্ডলের ১৬০তম প্রয়াণ দিবসে ‘ রসিকচন্দ্র স্মরণ -মনন-আলোচনা ‘ সভা অনুষ্ঠিত হয় কশাড়িয়া সার্বজনীন দূর্গোৎসব মঞ্চে। আয়োজনে – অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার অন্যতম প্রাচীন ইতিহাস চর্চার প্রতিষ্ঠান ‘ হিজলী-কাঁথি ইতিহাস রচনা সমিতি ‘ ( ১৯০৯) । সভায় পৌরহিত্য করেন খেজুরীর প্রাক্তন বিধায়ক ড. রামচন্দ্র মন্ডল। উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংস্থার অন্যতম আহ্বায়ক সুমন নারায়ন বাকরা, পূজা কমিটির সম্পাদক অঙ্কন সিনহা, কশাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অনিমেষ ঘোষ, অনুপম ঘোষ, মহীতোষ রায়, বাবুলাল মন্ডল, মানিক মাইতি প্রমুখ। উপস্থিত সকলে বিস্মৃতপ্রায় নাট্যকার ও সাহিত্যিক রসিকচন্দ্র মন্ডলের জীবন ও সাহিত্যকীর্তি নিয়ে আলোচনায় অংশগ্ৰহণ করেন ও এধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন আয়োজক সংস্থার অপর আহ্বায়ক সুদর্শন সেন। প্রসঙ্গত, বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী রসিকচন্দ্র মন্ডল ১৮২১ খ্রীস্টাব্দে কশাড়িয়া গ্ৰামে এক ধনাঢ্য পরিবারে জন্মগ্ৰহণ করেন। পিতা ফকিরচন্দ্র মন্ডল। মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ১৮৬৬ সালের ৪ঠা অক্টোবর তিনি প্রয়াত হলেও ১৮৬৪ খ্রীস্টাব্দে তিনি কাঁথি মহকুমার প্রথম নাট্যকার হিসাবে ‘ ধনবর্গ বা কালকেতুর রাজ্যপ্রাপ্তি ‘ নামক একটি পৌরাণিক নাটক লিখে প্রকাশ করেন। এছাড়াও, তিনি ওড়িয়া দুটি পুস্তক ‘ রসকল্লোল ‘ ও ‘ বৈদেহী বিলাস ‘ এর টীকা সম্পাদনা এবং বেশ কিছু বাংলা , সংস্কৃত ও ওড়িয়ায় সংগীত রচনা করেন। আয়োজক সংস্থার পক্ষে সুমন নারায়ন বাকরা ও সুদর্শন সেন জানান, বিস্মৃতপ্রায় এই নাট্যকারের কথা বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই আমরা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছি।





