পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগ ও সহযোগিতায়, এবং ভগবানপুর ১ ব্লক সাংস্কৃতি মঞ্চের পরিচালনায় জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক চমকপ্রদ এমেচার যাত্রার। গ্রামীণ সংস্কৃতির এই মঞ্চে এবার দেখা গেল এক ভিন্ন দৃশ্য— প্রশাসনিক দায়িত্বে অভ্যস্ত জনপ্রতিনিধিরা এবার নেমে এলেন অভিনয়ের মঞ্চে।

সেই অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন ভগবানপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুপ সুন্দর পণ্ডা। দক্ষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে যিনি মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন, এবার তাকেই দেখা গেল যাত্রা মঞ্চে এক নতুন রূপে। “সহর থেকে বৌ এনেছি” নামের এই যাত্রায় অরুপ বাবুর অভিনয় মন কেড়েছে দর্শকদের। তাঁর সংলাপ, শরীরী ভাষা ও মঞ্চে উপস্থিতি দর্শক মহলে তৈরি করেছে উচ্ছ্বাস ও হাততালির ঝড়।

এই যাত্রায় অরুপ পণ্ডার সঙ্গে অভিনয় করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষগণ, বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকবৃন্দ। রাজনীতি, প্রশাসন ও সংস্কৃতির এমন মিলনমেলা ভগবানপুরে আগে খুব একটা দেখা যায়নি।

সন্ধ্যা নামতেই ভগবানপুরের মঞ্চে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। এলাকার নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এসে ভিড় জমান এই অভিনয় দেখতে। দর্শকদের উচ্ছ্বাসে বারবার থেমে যায় সংলাপ— আবার শুরু হয় হাততালির ঢেউ। যাত্রার শেষে সকলেই একবাক্যে বলেন, “অরুপ বাবু শুধু একজন জনপ্রতিনিধি নন, তিনি সত্যিই একজন সুদক্ষ অভিনেতা।”
এই অভিনয়ের মাধ্যমে প্রমাণ হল— সঠিক মঞ্চ পেলেই জনপ্রতিনিধিরাও মানুষের হৃদয় জয় করতে পারেন শুধু উন্নয়নমূলক কাজ দিয়ে নয়, সংস্কৃতির মঞ্চেও। ভগবানপুর ১ ব্লক সাংস্কৃতি মঞ্চের এই অনন্য আয়োজন তাই হয়ে উঠেছে জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম আকর্ষণ।
অরুপ সুন্দর পণ্ডা বলেন,
“যাত্রা হলো আমাদের লোকসংস্কৃতির ধারক ও বাহক। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ এই সংস্কৃতি ধীরে ধীরে সমাজ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই এই মূল্যবান ঐতিহ্যকে আবারও সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতেই পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”





