Select Language

[gtranslate]
২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বৃহস্পতিবার ( ১৩ই মার্চ, ২০২৫ )

কাঁথিতে রেশমা খাতুন হত্যা রহস্য, গ্রেফতার প্রাক্তন প্রেমিক

কাঁথি শহরে হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা রেশমা খাতুনের মৃত্যু রহস্য নতুন মোড় নিল। গ্রেফতার হল প্রাক্তন প্রেমিক। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চলছে উত্তেজনা। গত ১২ ফেব্রুয়ারি কাঁথি ১ ব্লকের মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চুনফলি গ্রামের ফাঁকা মাঠ থেকে উদ্ধার হয় রেশমা খাতুনের পচা গলা মৃতদেহ।সেদিনই রেশমার পরিবারের লোকেরা জুনপুট উপকূলীয় থানায় গিয়ে মৃতদেহ সনাক্ত করেন। তারপর ময়না তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠালেও অবশেষে তার মৃতদেহ তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি মৃতদেহ পরিবারের লোকেরা পাওয়ার পর তাকে কবরস্থ করে। সেই থেকে পুলিশি তদন্ত চলে। পরিবারের লোকেরা ১৮ ফেব্রুয়ারি জুনপুট উপকূলীয় থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে। পাশাপাশি জানা যায় প্রায় দেড় বছর আগে প্রেম ভালোবাসার টানে রেশমাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল কাঁথি শহরের পশ্চিম ভগবানপুর এর বাসিন্দা শেখ আব্দুল সাত্তার। প্রায় ছ মাস একসাথে বসবাস করার পর শেখ আব্দুল সাত্তার, তার প্রথম স্ত্রী মেয়ে ও দুই ছেলে মারধর করে। গাছে বেঁধে খুনের পরিকল্পনার খবর পেয়ে রেশমার বাবা মফিজুল আলী খাঁন গ্রামের মোড়লকে নিয়ে রেশমাকে উদ্ধার করে।

রেশমা জীবতদশায় ২০২৩ সালের ৭ জুন কাঁথি মহিলা থানায় তাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল সেখ আব্দুল সাত্তার সহ ৭ জন সহযোগীর বিরুদ্ধে  অভিযোগ দায়ের করে। রেশমার বাবা জানিয়েছে সে তার দিদির বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মৃতদেহ পাওয়ার প্রায় সাত দিন আগে  গিয়েছিল। তারপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। দাদার বাড়িতে কাজের জন্য থাকতে বলে তাও জানিয়েছে রেশমার বাবা। এই কারণে রেশমার খুনি সন্দেহে পুলিশ সোমবার রাত্রি সাড়ে নটা নাগাদ শেখ আব্দুল সাত্তার কে গ্রেফতার করে। ধৃতকে মঙ্গলবার কাঁথি মহকুম আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিনের আবেদন খারিজ করে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Related News