“কলনাৎ সর্বভূতানাং মহাকালঃ প্রকীর্ত্তিতঃ / মহাকালসা কলনাৎ তমাদ্যা কালিকা পরা”।
মহানির্বাণমতে, যিনি সকল প্রাণীকে ‘কলন’ বা গ্রাস করেন, তিনিই ‘মহাকাল’। এই মহাকালকে গ্রাস করেন আদ্যাশক্তি ‘কালিকা’। তন্ত্রসার অনুসারে ‘কালী’ হোলো “করালবোদনং ঘোরাং মুক্তকেশিং চতুর্ভুজাম কালিকাং দক্ষিণাং দিব্যাং মুণ্ডমালা বিভূষিতাম”।
‘কাল’ শব্দের স্ত্রীরূপ হোলো ‘কালী’। অর্থাৎ তামিস্র। কৃষ্ণবর্ণযুক্ত, শ্যমল, অসীত। মসীকজ্জলকালকাআ বা সংস্কৃতে মসীকজ্জলশ্যামকায়াঃ। মহাকালের সঙ্গে যিনি রমণ করেন তিনিই ‘কালী’। কালের অধিষ্ঠাত্রী আদ্যাকালী নানা নামে পূজিতা হন “ত্বং কালী তারিণী দুর্গা ষোড়শী ভূবনেশ্বরী / ধূমাবতী ত্বং বগলা ভৈরবী ছিন্নমস্তকা / ত্বমন্নপুর্ণা বাগদেবী ত্বং দেবী কমলালয়া / সর্ব্বশক্তি ত্বং দ্বিভূজা ষড়ভূজাষ্ট ভূজাস্তয়া / তমেব বিশ্বরক্ষাথং নানা শাস্ত্র ধারিণী”।
কিন্তু কবে প্রথম কালী আরাধনা শুরু হয়? ব্রম্ভবৈবর্ত্তপুরাণে পাই “প্রথমে পূজিতা সাজ কৃষ্ণেণ পরমাত্মানা / বৃন্দাবনে চ সৃষ্টাদৌ গোলকে রাসমণ্ডলে / মধুকৈটভ ভীতেন ব্রম্ভণা সা দ্বিতীয়া / ত্রিপুরাপ্রেসীতে নৈব তৃতীয়ে ত্রিপুরারিণা / ভ্রষ্টশ্রিয়া মহেন্দ্রেণ সাপার্দ্দুর্বাসস পরা / চতুর্থে পূজিতা দেবী ভক্তা ভগবতী সতী / তদণমুণিন্দ্রৈ সিদ্ধেন্দ্রৈ দেবৈশ্চ মনুর্মানবৈঃ পূজিতা সর্ববিশ্বেসু বভূব সর্ব্বতঃ সদা”। অর্থাৎ বৃন্দাবনে প্রথম কালীপূজার সাধক শ্রীকৃষ্ণ। এরপর মধুকৈটভের হাত থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজতে পূজা করেন ব্রম্ভা। তৃতীয় জন হিসেবে কালীর পূজা করেন দেবরাজ ইন্দ্র। সারা ভারতের মতো পশ্চিমবঙ্গেও কালী আরাধনা হয় বিভিন্ন উদ্দেশ্যে।
দীপাবলি উৎসবের দিনে কালীপূজার কথা পাওয়া যায় ১৭৬৮ সালে লেখা কাশীনাথের “কালী পর্যাবিধি” অনুসারে। এই গ্রন্থ অনুসারে জানা যায় যে তখন পর্যন্ত কালীপূজা বাংলাদেশে প্রচলিত ছিল না। কেউ কেউ বলেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রই এই পূজার প্রচলন করেন। কৃষ্ণচন্দ্রের পৌত্র ঈশানচন্দ্র সহস্র মণ নৈবেদ্য এবং সহস্র সহস্র কাপড় ও আরো নানাবিধ উপচারে কালীর পূজা করেছিলেন মহারাজের নির্দেশে। তবে অন্যান্যদের অভিমত, সম্ভবত বাংলাদেশে প্রচলিত কালীপূজার প্রবর্তক ছিলেন কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ। ইনি ছিলেন চৈতন্য মহাপ্রভুর তন্ত্র শিক্ষক।
বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে কালীপূজার প্রচলন রয়েছে। জৈষ্ঠ্য মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে ফলহারিণী কালী, মাঘ মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে রটন্তী কালী, কার্তিকের রাস পূর্ণিমাতে কৃষ্ণকালী ছাড়াও শ্মশানকালী, রক্ষাকালী, আদ্যাকালী, জিয়ৎকালী, মহাকালী, শ্যামাকালী, নিত্যকালীর পূজার রেওয়াজ আছে। শ্যামাকালী হোলো বরাভয়দায়িনী। আর অতিবৃষ্টি, মহামারী, ভূমিকম্প, অনাবৃষ্টি, দুর্ভিক্ষের হাত থেকে রেহাই পেতে রক্ষাকালী এবং সংহারমূর্তিতে শ্মশানকালীর পূজা হয়। ফলহারিণী কালী ও রক্ষাকালী প্রায় আগুপিছু পূজো হয় কোথাও কোথাও।
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সময়ে কালী আরাধনায় মেতে ওঠেন মানুষজন। দীপাবলির সময়ে তমলুকের দেবী বর্গভীমা মন্দিরে, মেদিনীপুর শহরের বটতলা চকে এবং কাঁথির কপালকুণ্ডলা মন্দিরে ভক্তসমাগম লক্ষ্য করা যায়। মেদিনীপুর শহরের বটতলা চকে অধিষ্ঠীত দেবীর আরাধনা হয় প্রতিদিনই। জেলার বহু ঐতিহ্যশালী এই পূজোকে ঘিরে দীপাবলির সময় মেতে ওঠেন মানুষজন। তেমনি দেবী বর্গভীমাকে ঘিরে তমলুক শহর শক্তির আরাধনায় ঝাঁপিয়ে পড়েন সবাই।
ফলহারিণী কালীপূজা দীর্ঘ ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে পাঁশকুড়ার ক্ষীরাই নদীর বুকে পাশাপাশি দুটি গ্রাম তিনতাউড়ি বেগুনবাড়ি ও গুলিখানা (ফতেচক, উড়িয়াগড়) তে। হাজারের বেশি ছাগবলি হয়। ধীবর সম্প্রদায়ের পূজা এটি। ভোগপুরের বাঙালপুর, তমলুকের আস্তাড়া, পাঁশকুড়ার পরমানন্দপুর, এগরার বাথুয়াড়িতে (১৫০ বছর) সমারোহে পূজিতা হন এই কালী। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার গাংচা এবং শ্রীরামপুর আটঘরাতেও জৈষ্ঠ্যতে ফলহারিণী কালী পূজা শতাধিক বছর ধরে চলছে।
কসবাতে ২৫৯ বছরের বেশি সময় ধরে মুখার্জি পরিবারের পূজা চলছে উত্তরাধিকারীদের উদ্যোগে।
দাসপুরের বাসুদেবপুরে ১২৪১ বঙ্গাব্দে শুরু হয়েছিল শ্মনানকালীর পূজা। এখনও চলছে। এখানকার জোতকেশব গ্রামের কালীপূজাও ২৫০ বছরের প্রাচীন। নন্দীগ্রামের হানুভুঁঞাতে এবং পূর্ব দক্ষিণ ময়নাতে শতাধিক বছরের প্রাচীন কালীপূজা চলে আসছে। তমলুকের কিসমত পুতপুত্যা গ্রামের রক্ষাকালীর পূজা হয় মাঘে। এটিও দেড়শো বছর ছুঁই ছুঁই। চন্দ্রকোনার ডিঙ্গালতে বৈশাখে রক্ষাকালীর পূজা হয় অনেক বছর ধরে। প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন বাগপোতার বৈশাখী রক্ষাকালীর পূজা আজও সমানভাবে চলছে।
অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি থেকে ভগবানপুরের বিভীষণপুরের চক্রবর্তী পরিবারের দক্ষিণাকালীর পূজা চলে আসছে এই দীপান্বিতা অমাবস্যায়। এছাড়া এখানকার জরারনগর, ইছাপুর, ভগবানপুর থানা সদর, সাদুল্ল্যাচক এবং ধালুয়াতেও দেবী কালীর পূজা ভক্তি সহকারে হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের দশগ্রামে কার্তিকী অমাবস্যাতে বহু প্রাচীন কালীপূজা চলে আসছে। তমলুকের বল্লুক, সাবলআড়া, নারায়ণদাঁড়ি, পটাশপুরের বারুইপুর, বড়হাট, খড়ুই কোটবাড়, মুস্তাফাপুর, গোসাড়া, সদতপুর, পালপাড়া, প্রতাপদিঘী, গোপালপুর, মহিষাদলের ঠাঠারিবাড় ও সন্দলপুরেও দেবী কালীর পূজা জাঁকজমকপূর্ণ ভাবেই আয়োজিত হয় এখনও।
আজ আমরা দেবী কালীর আরাধনায় ব্রতী। সারা ভারত জুড়ে হিন্দুদের কাছে শক্তির উপাসক এই দেবী। কিন্তু এই কালীর অস্তিত্ব কি বিদেশ থেকে এসেছে? বিদেশী দেবীর অনুষঙ্গ থেকেই কি কালীর জন্ম? কিংবা এই কালীই কি বিদেশের নানা দেবীতে অনুপ্রবেশ করেছে? নানা রকম কালীর সাথে অদ্ভুত মিল মেলে বিদেশের বহু দেবীর সাথে। কারা প্রথম দেবী কালীর আরাধনা শুরু করেছিল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হতে বাধ্য তাই।
বিদেশের বিভিন্ন দেবীর উপচার এবং নানাবিধ বিবরণ জানলে মনে হবেই দেবী কালীর অস্তিত্ব একসময় নিশ্চয়ই প্রাচীন ক্রীট সভ্যতা, অ্যাজটেক সভ্যতা, পার্শিয়ার জিপসিদের থেকে মেক্সিকো, স্কটল্যাণ্ড, স্পেন, আয়ারল্যাণ্ড, রাশিয়া, গ্রীস, ফিনল্যাণ্ডেও বিস্তৃত ছিল।
ইউরোপের গ্রীকরা দেবী রিয়ার (Rhea) পূজা করতো আড়ম্বর সহকারে। এই দেবী হলেন যুদ্ধের দেবী। অবাক বিষয় যে, দেবী রিয়ার পূজা হয় শ্বেত জবা, পদ্ম এবং শালুক দিয়ে। আর কালীর পূজায় লাগে রক্ত জবা! সুদূর রাশিয়ার দক্ষিণ এলাকাতেও এই রিয়া পূজিতা হতেন ‘রা’ (Rha) নামেও। এর অর্থ রক্তবর্ণ বা লোহিতবর্ণ। আরও অদ্ভুত ব্যাপার যে ‘রা’ কে বলা হয় ‘Mother Time’। অর্থাৎ যিনি নিজের সন্তান সহ সব দেবতাকেই গ্রাস করে নেন। তিনিই দেবী ‘রিয়ানমন’। এঁরা স্বামীর নাম ‘ক্রোনাস’। যিনি হলেন ‘Father Time’ অর্থাৎ স্ত্রী রিয়া বা রিয়ানমনের মতো নিজের সন্তানদের গ্রাস করে নেন। এ আসলে আমাদের দেবাদিদেব মহাদেব এবং মহাকালীর বিদেশী সংস্করণ নয় কি?
প্রাচীন স্পেনের অধিবাসীদের কাছে পূজিতা হতেন এক দেবী। তাঁর নাম ‘ক্যালিফা’ বা “ক্যালিফিয়া”! আমাদের কালীর মতোই তিনি! এই দেবীর রাজত্বে ভরপুর ছিলো সোনা, রূপা সহ নানা ধরনের বহুমূল্য রত্নসামগ্রী। আমাদের কালী পূজার সঙ্গে ধনতেরস উৎসবের কিছু মিল পাওয়া যাচ্ছে কি? সবচেয়ে মজার ব্যাপার, পরবর্তীতে উত্তর আমেরিকার নব আবিষ্কৃত একটি নতুন ভূখণ্ডের নাম এই ‘ক্যালিফিয়া’র নামে করা হয় “ক্যালিফোর্নিয়া”!
মেক্সিকোতে তাকালেও কালীর বিদেশী অনুষঙ্গ মেলে। এখানকার সুপ্রাচীন অ্যাজটেক সভ্যতার আরাধ্যা দেবীর নাম ‘কোটলিকিউ’। ইনি ধ্বংস এবং সৃষ্টির দেবী। আমাদের কালীর মতোই। মেক্সিকান রেড ইন্ডিয়ান রা দেবীকে বলে ‘Our Mother’। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হোলো, কোটলিকিউর কোমরে অসংখ্য সাপের সমাহার। আর গলায় লকেটের মতো মাথার খুলি ও হাত! (Goddess of the serpent petticot & Lady of the skirt of Serpents)। পরবর্তীতে একে ‘কৃষ্ণবর্ণা ম্যাডোনা’ নামে খ্রীষ্ট ধর্মে যুক্ত করে নেওয়া হয়। এই ‘কোটলিকিউ’ সম্পর্কে জাস্টিনো ফার্নাণ্ডেজ লিখেছিলেন, ‘The Embodiment of the Cosmic Dynamic Power Which Bestows Life and Which Thrives on Death in the Struggle of Opposites’।
ফিনল্যাণ্ডের কৃষ্ণবর্ণা দেবীর নাম ‘ক্যালমা’ (Stench of Corpses)! যা কিনা আমাদের ‘কালী মা’! অবাকই হতে হবে। কেননা, এই দেবী একসময় জিপসিদের কাছে কৃষ্ণবর্ণা দেবী ‘সারা কালী’ নামে পরিচিতা ছিলেন। এই ক্যালমার প্রিয় স্থান হোলো সমাধীক্ষেত্র বা A Hunter Of Tombs। আমাদের কালীমার পূজাস্থানও শ্মশানভূমি। তাই তিনি শ্মশানকালী নামেও পূজিতা হন। বর্তমানে দক্ষিন ফ্রান্সে এখনও পূজা পান এই দেবী। এক সময় পার্শিয়ার জিপসিরা নিজেদের অভিহিত করতো ‘ক্যালেনডেরিস’ বা ‘দেবী কালীর লোকজন’ নামে। এঁদের এখনও বলা হয় ‘ক্যালডেরা’ বা ‘ক্যালডেরাস’। অর্থাৎ এটাই বোঝায় যে, এঁদের পূর্বপুরুষরা দেবী কালীর উপাসক ছিলেন।
আয়ারল্যাণ্ড কৃষ্ণবর্ণা দেবীর নাম ‘কোলিয়েক’। এর থেকে নাম হয়েছে ক্যালিডোনিয়া! আয়ারল্যাণ্ডের অধিবাসীদের ডাকা হোতো ‘কেলে ডে’ নামে। অর্থাৎ কালীর উপাসক! একসময় এই স্কটল্যাণ্ডকে ডাকা হোতো ‘ক্যালিডোনিয়া’ বা ‘কালী প্রদত্ত ভূখণ্ড’ বলে। দেবী ‘স্কোটিয়া’র নামেই হয়েছে স্কটল্যাণ্ড। এই দেবীই রোমানদের কৃষ্ণবর্ণা দেবী ‘অ্যাফোডাইট’। স্ক্যণ্ডিনেভিয়ানরা ‘কোলিয়েকে’র রূপভেদ হিসেবে ‘স্ক্যাডি’ এবং ‘স্কোটিয়া’র আরাধনা করতো। আমরা রক্ষাকালীর পূজা করি অসুখ থেকে মুক্তির জন্য। অসুখ সেরে গেলে দেবীর কাছে মানত হিসেবে পাঁঠা বলি দিই। তেমনি আয়ারল্যান্ডে জলবসন্ত বা চিকেন পক্স হলে এই কোলিয়েকের শরণাপন্ন হয়। অসুখ সেরে গেলে দেবীর কাছে ভেড়া উৎসর্গ করা হয়। এই কোলিয়েককে বলাই যায় ইউরোপীয় কালী। উপচারের পাশাপাশি নামেও অদ্ভুত মিল কালী ও কোলিয়েকের মধ্যে।
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতেই পারে, তথাকথিত বিদেশী ‘ক্যালমা’ এবং আমাদের আরাধ্যা ‘কালীমা’ কি আলাদা? স্প্যানিশ ‘ক্যালিফিয়া’ ও ইণ্ডিয়ান ‘কালী’র মধ্যে এতো মিল কি করে হতে পারে? সুদূর আটলান্টিক পারে থাকা ‘কোটলিকিউ’ আর গঙ্গা অববাহিকা এলাকার ‘কালী’র উদ্ভবের ক্ষেত্রে কি কোনও অজানা মিল রয়েছে? কিংবা ইউরোপীয় ‘কোলিয়েক’ আর এশিয়ান ‘কালী’ কি এক হতে পারেনা? তথাকথিত ভারতীয় ‘কালী উপাসক’দের সাথে দশম শতাব্দীর পার্শিয়ান ‘কেলেনডেরিস’ কিংবা আইরিশ ‘কেলে ডে’দের ধর্মীয় মিল কোথা থেকে এলো? আমাদের ‘কালীঘাট’ এর সাথে পার্থক্যটা কোথায় ‘ক্যালিফোর্নিয়া’, ‘স্কটল্যাণ্ড’ অথবা ‘ক্যালিডোনিয়া’র? একটু হলেও কি দেবী কালী সম্পর্কে মনে হচ্ছেনা যে, একসময় এই দেবীর সদর্প উপস্থিতি ছিল বিশ্বজুড়ে?
তিনিই কালের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। যেখানে সমস্ত বর্ণের অভাব, সেখানেই কালো তথা কৃষ্ণবর্ণের আবির্ভাব। আর তাঁর তীব্র জ্যোতি আমাদের চোখ ধরে রাখতে পারেনা। তাই কালো। এই আদ্যাকালীর নির্দেশেই সারা পৃথিবীর শুভাশুভ কাল সৃষ্টি হয়। জগতের অন্ধকার দূর করে দেন তিনিই। যাবতীয় কালো সরিয়ে পৃথিবী জুড়ে আলোর ঝালরে ঢেকে রাখেন এই কৃষ্ণবর্ণা আদ্যাকালীই। “মেঘাঙ্গীং শশিশেখরাং ত্রিনয়নাং রক্তাশ্বরং বিভ্রতীং”।