প্রদীপ কুমার সিংহ:-ব্যানার কারখানা মধ্যে এক যুবকের রক্তাক্ত মৃত উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল ছড়ালো। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা নরেন্দ্রপুর থানা অন্তর্গত নরেন্দ্রপুর বনহুগলির কর্মকার পাড়াতে শুক্রবার রাত ৯ টায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর শুক্রবার বিকেলে ওই ব্যানার কোম্পানিতে তিন চার জন শ্রমিক ছিল। কাসেম আলী মোল্লা পাশে একটা দোকানে চা খাচ্ছিল তাকে ডেকে নিয়ে যায় ওই শ্রমিকরা। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে ওই শ্রমিকরা, ওই কোম্পানি থেকে বেশ কিছু লোহার জিনিস চুরি করেছিল সেইটা কাসেম আলী মোল্লা মোবাইলে ভিডিও করে রেখেছিল। পরে মালিককে দেখাবে বলেছিল। এই কথা শুনে কাসেম আলী মোল্লার ওপর ওই শ্রমিকদের রাগ হয়।
প্রায় সময় শ্রমিকদের ঐ কোম্পানির ভেতরে মদের আড্ডা বসত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মদের আসর বসিয়েছিল কাসেম আলীকে নিয়ে। পার্সিম আলীর সঙ্গে ওই শ্রমিকদের বছর হয়। পরে কাসেম আলীর মাথায় লোহার রড দিয়ে মাথায় মেরে ফাটিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় কাশেম কারখানা মেজে পড়ে থাকে। এবং তার মৃত্যু হয় সেখানেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে পারলে নরেন্দ্রপুর থানার খবর নরেন্দ্র পুর থানা পুলিশ তার মৃতদের উদ্ধার করে। পুলিশ আসার আগেই ঐশ্বরিক রা পালিয়ে যায় ওই কোম্পানির ভেতর থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা আরো যান আছে ওই শ্রমিকদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাতে। পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে।
শনিবার কাশেম আলী মোল্লার বাড়ি থেকে একটা নরেন্দ্রপুর থানায় খুনের অভিযোগ করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। স্থানীয় এলাকারই ছেলে কাসেম। তার জেরেই এই খুন বলে দাবি এলাকার বাসিন্দা ও পরিবারের। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা লোহার রড উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্তরা মিনাখাঁ এলাকার বাসিন্দা। একই সাথে তারাও এই কারখানাতেই কাজ করত। ঘটনার পরেই তারা এলাকা ছাড়ে। তাদের সন্ধানে নানান জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনার জেরে আজ সকাল থেকেই এলাকা থমথমে। পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কিভাবে এই খুন তা জানতে কাসেমের দেহ আজই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
।নরেন্দ্রপুরে বনহুগলীতে খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করলো নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় কাসেম আলী মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের মামলা রুজু করা হয়। খুনের মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে মিনাখা থানা এলাকা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ইনজামুল মোল্লা ২০, শারিফুল মিস্ত্রি ২২, সালাউদ্দিন কয়াল ২৫, নামে এদের তিনজনকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। আগামীকাল রবিবার তাদের তিনজনকেই বারুইপুর আদালতে পেশ করা হবে। তবে সঠিক কি কারণে কাসেমকে খুন করলো তারা, সেই বিষয়ে জানার জন্য তাদের তিনজনকেই পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হবে বলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়।