Select Language

[gtranslate]
২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বৃহস্পতিবার ( ১৩ই মার্চ, ২০২৫ )

।। শেষের কথা ।।

টুলু গাঙ্গুলী :- গিরিবালা মিত্র আজ অনেকদিন বাদে বাপের বাড়ি আসছে। সে বলেছে দাদা বউদিরা যেন সকলে বাড়ি থাকে আর তার দুই দিদিকেও বাপের বাড়ি আসতে বলেছে ৷ সকলের সঙ্গে তার কি দরকারি কথা আছে ৷

এদিকে বাপের বাড়িতে গিরি সম্বন্ধে আলোচনার শেষ নেই ৷
নানান টোন টিটকারি মার্কা কথা বার্তা ৷
বড়বউ- কি করতে আসছে গো তোমার ছোটো বোন!
ভাঁড়ারে এবার টান পড়েছে বুঝি ?
তখন তো কি দেমাক মাটিতে পা পড়েনি !
মাকে নয় এক বছর রেখেই ছিলিস ৷ নেহাত আমাদের গ্রামে ডাক্তারের সুযোগ সুবিধা কম ৷ তোর কোলকাতায় বাড়ি কাছে ডাক্তারপত্র আছে তাই মাকে রেখে এসেছি ৷

মেজবউ – তারপর দেখো দিদি, গিরির দেমাকখানা- বললো মাকে দেখবো তো তার খরচা তোদের দিতে হবে কেন ? আমিও তো তার একটা সন্তান, আমারও বাবা মার প্রতি দায়িত্ব আছে ৷
এবার বোঝ ৷ বরের ফুটপাতে ফলের দোকানটা সরকার উঠিয়ে দিয়েছে যেই – তাই বলি আজ বছর খানেক হল দোকান উঠেছে কিন্তু গিরিবালার কেন পাত্তা নেই ৷
দাদারা সব বড় বড় ব্যবসাদার তাদের থেকে এবার তো মাসোহারা চাইবেই ৷ আসলে পৈতিক ব্যবসা তো সেখানে তো তার জোর আছে – তাই না ৷

ছোড়দা বলে আহ্-
তোমরা থামবে, আগে তাকে আসতে দাও ৷

বড় দুই দাদা বললো তোর এত গায়ে লাগছে কেন? এরা তো আর কিছু ভুল বলছে না ৷ তবে আমার ছোটো মেয়ের সামনের মাসে বিয়ে আমি কিছু দিতে-থুতে পারবো না এই বলে রাখছি। বড়দা হয়েছি বলে তো চুরির দায়ে ধরা পড়িনি !

মেজ ভাই বলে দেখ দাদা তুই দুটো দোকান ভোগ করছিস ৷ তাতে আমরা দুই ভাই কিছু বলিনি কারন তোর তিনটে মেয়ে আমাদের একটা করে ছেলে ৷

বড়দা বলে কেন তার জন্য যত লোক লৌকিকতা আসনতি-যাওয়নতি সব তো আমিই করি তার জন্য তোদের থেকে আমি কোনো পয়সা নিই বল তোরা ?

ছোটো ভাই বললো এবার যদি গিরি আসে-
কিছু সাহায্য চায় তোকে একটু বেশি দিতে হবে ৷ এই ভাবে ভায়ে ভায়ে চেঁচামেচি ঝগড়াঝাটি শুরু হয় ৷ দুএকজন বউও নাক গলায় তাতে ৷ সেই সময় বড়দি ও ছোড়দি এসে উপস্থিত হয় ৷
ভায়েদের ঝগড়ার কারন জেনে তারা ও তাদের মন্তব্য যে যার মত করে করতে আরম্ভ করে ৷

তারা বলে হ্যাঁ বাবা আমাদের দুই বোনকে গিরির থেকে বেশি সোনা দানা নগদ টাকা পয়সা দিয়ে বিয়ে দিয়েছে গিরিকে সে তুলনায় কিছুই দিতে পারে নি ৷ তার কারনও একটা আছে ঐ তিন ভাইএর জন্য দোকানগুলো বাবা করলো নিজেরও একটা সারের দোকান করলো বাবার হাত তখন খালি ৷ সেই সময় গিরির বিয়ে হয় ৷ তাছাড়া আমাদের দুই বোনের বর সরকারি চাকরী করে তাদের বাড়ি থেকে তো পাওনা চাইবেই ৷ ছেলের বাড়ি থেকে যা চেয়েছে বাবা তাই দিয়েছে, না দিলে পাছে এমন পাত্র হাতছাড়া হয় ৷ সে তুলনায় গিরির বর ফুটপাতে ফল ব্যবসা করে তার ওই জন্যই কোনো চাহিদা থাকে নি। ছাড় এখন ওসব কথা –
মোধ্যাকথা গিরি আজ বিকাল তিনটের সময় আসবে বলেছে।আমাদের সকল ভাই বোনকে এক জায়গায় জড়ো হতে বলেছে ৷
আর কি কথা বলবে- তবে তোদের ধারনা ঠিকই কিছু সাহায্যের জন্যই আসছে ৷ গিরির মেয়ে রমারও তো বিয়ের বয়স হল ৷ বড়দিদি বললো আমি সেই ভেবেই হাজার টাকা এনেছি এর বেশি আমার ক্ষমতা নেই ৷

মেজদি বলে আমি এখন কিছু আনিনি বুঝলে, পরে যাহোক দেবো ৷
আমার নাতনীর বিয়ে গেলো তোরা দেখলি তো কত খরচ হয়েছে ৷ গিরির শাশুড়ি মারা গেল সে সময় । অশৌচ চলল‌ বলে গিরি আমার নাতনীর বিয়েতে আসেনি, এলে দেখতে পেত খরচা কাকে বলে ৷

ছোটো বউ – গিরি এলেই কি উপযুক্ত পাওনা দিতে পারতো আপনার নাতনীর বিয়েতে ?

আবার দিদিরা বললো তবে গিরি যদি বেশি কিছু চায় আমরা দু-কথা শুনিয়ে দেবো ৷ যখন গিরির এই সম্বন্ধটা হয় তখন তো বড় বড় কথা কম বলেনি !
— বাবা তুমি কেন ওতো ভাবছো ?
তুমি বলেছো ছেলে ভালো ।
সেটাই আমার বিশ্বাস ।
টাকা পয়সা তারা তো চায়নি তাহলে কিসের চিন্তা?
আর ভালো ছেলে মানে যারা চাকরী করে?
যারা বেশি বড়লোক তাদের আবার খাঁকতি বেশি ? আমার এই ভালো৷
ছেলে চাকরীও করে না আর তার দাবি দাওয়াও নেই ৷
–আবার কত কবিতা পাঠ হল –

এ জগতে হায় সেই বেশি চায়
আছে যার ভুরি ভুরি –

বড় বউ বললো মেজদি আপনারা যাই বলেন গিরির খুব অহংকার ৷ এমন ভাব দেখায় যেন কোনো কিছু্তে তার কিছুই আসে যায় না ৷

মেজবউ– সকলে চুপ করুন ঐ যে গিরি আসছে ৷

চোখে চশমা কাঁদে লেডিস ব্যাগ হাতে মিষ্টির প্যাকেট, পরনে তাঁতের হলুদরঙা চওড়া পাড়ের শাড়ি ৷ বয়স ৪৫-৪৬ হবে ৷ দেখলে মনে হবে গিরি তো গিরি। জ্ঞানে গুনে যেন সাক্ষাত মা সরস্বতী৷
এসেই সকলকে প্রনাম করে -কারন সকল ভাই বোনের থেকে গিরি ছোটো ৷ সকলের কুশল সংবাদ আদান প্রদান হল ৷
গিরি কি বলবে তা আগে থাকতে প্রায় সকলে ধারনা করে নিয়ে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ৷ এর‌ই মাঝে বড়দার ছোটো মেয়ে মিনু সকলের জন্য চা জল নিয়ে আসে।
বড়দাদা আগে হাজার দুয়েক টাকা নিয়ে বলে জানি গিরি তোর এখন খুব আর্থিক অনটন যাচ্ছে। বড় দিদিও হাজার খানেক টাকা নিয়ে সেই একই কথা ৷
বউদিরা বলে গিরির মুখ দেখে কি তোমরা কিছুই বুঝতে পারছো না ? তোমাদের ওইটুকু সাহায্য ওর
পছন্দ না ৷ অত দুর থেকে এসে,সকল ভাই বোনকে ডেকে এনে তার তো একটা ভালো মত লাভ হওয়া চাই ৷
দাদা দিদিরা এক যোগে বলতে লাগল এর বেশি আমাদের ক্ষমতা নেই ৷
কোথা পাবো এই মাগ্গি গন্ডার বাজার ।

গিরি শুধু একটা কথা বললো কেন রে দাদা বাবাতো তোদের কাউকে কম দিয়ে যায় নি ৷

মেজ দাদা বললো ও তার মানে বউরা যা বললো সেটাই ঠিক ৷ আচ্ছা গিরি যখন মা তোর ওখানে থাকে তখন তুই এত দেমাক দেখালি কেন ?
যদি দেমাকই দেখালি তবে আজ কেন নত হতে এলি ? যত সব ! সব বোঝা হয়ে গেছে ৷ আমি আর এর মধ্যে নেই আমি চললাম –

এবার গিরি মুখ খোলে –
সকলে বোস- অপরাধী তার অপরাধ জানলো না তার ফাঁসির হুকুম হয়ে গেলো ৷

বাবা আজ থেকে প্রায় বছর পাঁচেক আগে দেড় লক্ষ টাকার ইন্দিরা বিকাশ পত্র কেনে ৷ তোমরা জানো এটা পাঁচ বছরে ডবল হয় আর এটা হস্তান্তর যোগ্য। বাবা আজ চার বছর মারা গেছে আর মা আড়াই বছর মারা গেছে ৷
বাবা মারা যাওয়ার আগের বছর এই ইন্দিরা বিকাশ কিনে ছিলেন ৷ বাবা চলে যাওয়ার আগে মাকে এই কাগজ গুলো দিয়ে বলে যায় এগুলো সময় মত ছয় ছেলে মেয়েকে সমান ভাগে ভাগ করে বুঝিয়ে দিও ৷
মা যখন আমার বাড়ি যায় চিকিৎসার জন্য তখন আমাকে সব বুঝিয়ে বোলে এই ইন্দিরা বিকাশের কাগজ দিয়ে যায় ৷ আজ থেকে পনেরো দিন বাদে এই টাকা পাওয়া যাবে ৷ এবার তো তোমরা আমার এভাবে আগমনের হেতুটা বুঝতে পেরেছো ৷

বাড়ির সকলে থ’বনে গেল ! এর ওর মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগল ৷ এত কিছুর পরেও বউরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বাবা মোটেও দেড় লাখ টাকার ইন্দিরা বিকাশ পত্র কেনেননি মনে হয় এর বেশি –

কথাটা একটু যেই ভায়েদের কানে যায় তারা বউদের চুপ করতে বলে ৷ তবে গিরির কানেও কথাটা যায় ৷
তার-ই মধ্যে বড়দাদা বলে আচ্ছা গিরি মা আমাদের কোনো ভাই বোনকে বিশ্বাস না করে তোকে বিশ্বাস করে সব দিয়ে গেল ৷
গিরি বলে সেটা মা জানে ৷

গিরির দুই দিদি বলে মা যা করেছে ঠিক করেছে ৷ ভায়েদের বলে হঠাৎ করে এত গুলো টাকা পেলি কোথা খুশি হয়ে বলবি নারে গিরি আমরা তোকে ভুল বুঝেছি ।
কিন্তু ভাইরা এখন খুব তর্জন করে যাচ্ছে, মা কেন গিরিকে এত বিশ্বাস করলো আমরা তার ছেলে আমাদের অবিশ্বাস !
এদিকে তিন ভায়ে আলাদা কি সব বলছে । সেই কথা গুলো হলো এরকম – এই বিষয়ে তোরা একদম মুখ খুলবি না যাক এ ব্যাপারটা বাবা -মা গিরিকে বলে যেতে পারে নি ৷ এবার গিরি এ বাড়ি থেকে গেলেই বাঁচি।

কত দিন পরে আবার তিন বোনে এক জায়গায় বসে হাসি আনন্দে মেতে উঠেছে৷
তবে গিরি একটু কম কথা বলে ৷ তার মনে খুব চাপা দুঃখ যে ভাই বোনকে সে এত ভালোবাসে একটু আগে তারা যে ব্যবহারটার পরিচয় দিল তাতে আর যাই হোক মন থেকে হাসি আনন্দ আসে না ৷
তার দুই দিদি হাতে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা পাবে শুনে ভোলটা তাদের পাল্টে গেলো ৷দাদা বউদিরা তো এটা জানতে পেরেও খুসি নয় ? আমাকে সন্দেহ করছে বাবা বোধ হয় আরও –

না আর ভাবা যায় না সত্যিই যদি আজ গিরি এদের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইতে আসত এই তাদের ব্যবহার ! তার-ই মাঝে হঠাৎ বড়দি বললো গিরি আজ থাকনা তিন বোন মিলে সারারাত গল্প গুজব করবো ৷
নারে দিদি সন্ধ্যে ছটা কুড়িতে লাষ্ট বাস হাওড়া যাওয়ার ৷
কথা বলতে বলতে গিরি যেন একটু আনমনা – দাদারা বললো কি এত ভাবছিস এই তো মোটে পাঁচটা বাজে ৷
ছোড়দি বললো আচ্ছা গিরি রমার তো আঠারো বছর বয়স হল এবার বিয়ে দিবিনা ৷
নারে দিদি, ও বিয়ে এখন করবেনা ও ডাক্তারি পড়বে।
সকলে এমন একটা মুখ চোখের ভান করলো যেন মেয়ে হয়ে বিয়ে করবেনা এটা ভাবা তো অন্যায় বঠেই আবার ডাক্তারি পড়া !

গিরি দাদাদের বললো এবার আমি যাবো – দাদারা চোখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগল ৷
তারপর দেখে বাবার বন্ধু বিশু কাকু বাড়িতে এল ৷
বিশুকাকুকে দেখে তিন ভায়ে রেগে গেলো কারণ কিছু দিন আগে বৈষয়িক কারনে একটু মনমালিন্য হয় এই বিশুকাকুর সঙ্গে ৷

এবার মেজদা বলে কি মনে করে আজ আমাদের
বাড়িতে ৷ কি দরকারে এসেছেন ?

এবার গিরি বলে দাদা তোদের উন্নতি হয়েছে জানতাম৷ কিন্তু এতটা উন্নতি হয়েছে জানতাম না ৷ আমি বিশুকাকুকে এখানে আসতে বলেছি ৷
এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছিস,
বাবা -মা তোদের উপর কেন বিশ্বাস রাখেনি ৷

বাবার সারের দোকানটা বাবা আমার নামে করে দিয়ে গেছে ৷ বাবা শুধু মাত্র দাদাদের বলেছিল কিন্তু দাদারা ঝগড়া করেছিল বাবার সঙ্গে। দাদারা আমায় কোনো মতেই ঐ দোকান দেবে না ৷

বড়দা বলে মিথ্যে কথা !

তখন বিশুকাকু বাবার লেখা চিঠি ও দলিল দিল ৷

বিশুকাকার বয়স হয়েছে‌ তাই সে চিঠিটা মেজদার ছেলে সম্রাটকে গিরি পড়তে বললো – চিঠির সারসংক্ষেপ হল এই রূপ- সারের দোকানটা গিরির নামে দলিল করেছি। গিরি যদি মনে করে সে দোকান ব্যবহার বা বিক্রি দুটোই করতে পারবে তার দাদারা যদি তার থেকে দোকানের পাপ্য মূল্য দিয়ে কিনতে পারেতো পারবে ৷ যদি তারা পাপ্য মূল্য না দেয় বা বাকি রাখতে চায় গিরি সেই দোকান দাদাদের না দিয়ে পোষালে অন্যত্র বিক্রি করতে পারবে ৷ গিরিকে সে আর পাঁচটা সন্তান থেকে অনেক কম জিনিস দিয়েছে বলে এই ব্যবস্থা করেছেন ৷
এই সারের দোকান থেকে যা আয় হয়েছে সেই দেড় লক্ষ টাকার ইন্দিরা বিকাশপত্র কিনেছে ছয় ছেলে মেয়ের জন্য ৷ এই টাকা পারলে তিনি গিরিকেই সবটা দিয়ে যেতে পারতেন কিন্তু তা করেননি কারন বাবার মৃত্যুর পর উপহার স্বরুপ এই টাকা পেলে,সন্তানদের ভালো লাগবে ৷

বিশুকাকা বলে বুঝলি গিরি তোর বাবা বোধহয় তার শরীর সম্পর্কে সব বুঝতে পেরেছিল,নয়ত আমার শত আপত্তি শর্তেও সে আমায় এই এত বড় দায়িত্ব দিয়ে যায় !

সম্রাট আবার পড়তে শুরু করে- আমার বাল্য বন্ধু বিশুর কাছে সব কিছু রেখে দিলাম ৷ ছেলেদের হাতেই দিতে পারতাম কিন্তু গিরির দোকানের অংশ নিয়ে আমার সঙ্গে আমার তিন ছেলে খারাপ ব্যবহার করে, তাই এই ব্যবস্থা ৷

বিশুকাকা বললো এবার আমার ছুটি । বড় বোঝা ছিল এত দিনে হালকা হলাম ৷

গিরি এবার দাদা বউদিদের বললো এবার বিশ্বাস হল যে বাবা পাঁচবছর আগে দেড়লক্ষ টাকারই ইন্দিরা বিকাশ কিনেছিল ৷ সত্যি তোমরা পারও বঠে ৷ আসলে তোমাদের মনে পাপ ।
দাদারা বললো গিরি তোর এত বড় কথা! ভুলে যাসনা যে আমরা তোর বড় দাদা ৷
গিরি বলে ভুলি নি দাদা ৷
তোরা যে পরিচয় আজ দিলি – কই একবারও তো এই দোকানের কথা বললি না ৷ বাবা দলিল করেই আমায় বলেছিল ৷ আমি শুধু বলেছি সময় এলে সব হবে তুমি বিশুকাকার কাছে রেখে ভালই করেছো ৷ তোরা বিশুকাকাকে বলেছিস দলিলের ব্যাপারে চেপে যেতে, যাতে আমি না জানি ৷
সেই বিশুকাকার সঙ্গে তোরা ঝগড়া করেছিস । তোদের ধারনা ছিল বাবা দলিল কাকার কাছে রেখেছে কারণ তোরা মায়ের ঘরে পাসনি ৷
আমি শুধু অপেক্ষা করছিলাম এই ইন্দিরা বিকাশ পত্র ওঠার সময় অনুযায়ী আসবো আর কাকাকে খবর দিয়ে আনালাম ৷
নারে অনেক কথা হয়ে গেলো বাসের সময় হয়ে গেলো এবার আসি ৷

দাদা -বউদি দিদিদের মুখ চুন হয়ে গেলো ৷
বড় বউদি দাদাকে বললো এখন আর রাগ কোরো না ।
যাতে করে সাপ ও মরে লাঠি ও না ভাঙে সেই ব্যবস্থা কর ৷
কোনো মতে দোকান হাতছাড়া করবে না ৷

বড়দাদা বললো গিরি তুই দোকানটার কথা কি ভাবলি ?
বউদিরা সব এবার গিরিকে খাতিরে যত্নে পুঁতে ফেলার
জোগার ৷ গিরি যত্ন দেখে বিদ্রূপের হাসি দিল, এখন দিদিরাও হ্যাটা হয়ে গেলো ৷
জগতে টাকাই সব, সেটা যেভাবেই হোক নিজের দখলে আনতেই হবে ৷
গিরি চলে যাচ্ছিস থাক না আজ- দুই দাদা বললো।
নারে দাদা আসছি –
বড়দাদা বলে- ভেবে দেখ কি করবি ?

গিরি বলে আমি ভেবেই এসেছি আমি যাবার আগে দোকানে তালা দিয়ে যাবো আর কথা বাড়াস না অনেক হয়েছে -এটাই আমার শেষ কথা ৷

Related News