কেকা মিত্র :- এ যেন এক মিলন উৎসব।দেশ ভাগ ও ৭১ এর পূর্ববঙ্গ থেকে আসা সিলেট অঞ্চলের যারা পশ্চিমবঙ্গে বসবাসরত কিছু সিলেটিয় দের দ্বারা ১৯৯৫ সালে গঠিত হয় দক্ষিণ কলকাতা সিলেট এসোসিয়েশন। যার মূল উদ্দেশ্য হল সিলেট অঞ্চলের সংস্কৃতি ও লোক সংস্কৃতিকে বাচিয়ে রাখা আর এই প্রজন্মের সিলেটিদের কাছে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়া,তার সাথে সমাজ সেবা মূলক কাজ করা।আজ ৩০ বছর ধরে এই উৎসব হয়ে চলেছে। ১৯৯৫ থেকে ২০২৪।
এই তিরিশ বছর কে দারুন ভাবে উদযাপন করলো দক্ষিণ কলকাতা সিলেট অ্যাসোসিয়েশন ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি শনিবার ও রবিবার।
দুইদিন ব্যাপি কলকাতা সিলেট উৎসব অনুষ্ঠিত হলো যোধপুর পার্ক সর্বজনীন পুজোর কমিউনিটি হলে। উৎসবে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেপিসি গ্লোবাল গ্রুপ এর কর্ণধার ডা: কালি প্রদিপ চৌধুরী,সম্মানিত অতিথি মো: আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ( মেয়র সিলেট সিটি করপোরেশন) মো:ফজলুর রাহমান ( মেয়র মৌলভীবাজার পৌরসভা) জোৎস্না ইসলাম ( মেয়র লন্ডন বোরো রেডব্রিজ) ডা: সুজিত কর পুরকায়স্থ ( ম্যানেজিং ডাইরেক্টর পিয়ারলেস হসপিটাল ও বি কে রায় রিচার্স সেন্টার), রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার ও ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ।
ছিলেন আরো অনেক গন্যমান্য ভারত ও বাংলাদেশ, লন্ডন, ইউ কে থেকে আসা বিশেষ অতিথি।
যারা বাংলাদেশ এর সিলেটবাসী। এনারা সকলেই উৎসব এ অতিথি হিসাবে মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন।এই বছর পিয়ারলেস হসপিটাল এর সাথে একটি চুক্তি হয় দক্ষিণ কলকাতা সিলেট অ্যাসোসিয়েশন এর।
এক সাংবাদিক সন্মেলনে এই দক্ষিণ কলকাতা সিলেট অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি প্রমোদ রঞ্জন দে জানালেন
আমাদের সভ্য সভ্যারা যদি পিয়ারলেস হসপিটাল কোন চিকিৎসা করান তাহলে চিকিৎসার মুল্যের উপর বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। দুদিনের উৎসবে যে সব শিল্পীরা নাচে, গানে ও আবৃত্তিতে অংশ নেন তারা হলেন,ভারতীয় শিল্পীরা হলেন, কলকাতার
অলোক রায় চৌধুরী, শ্রীভুমি ( দক্ষিণ কলকাতা সিলেট এসোসিয়েশন এর সাংস্কৃতিক সংগঠন) ঘটি গরম(কেপিসি মেডিকেল কলেজের সাংস্কৃতিক সংগঠন) অনন্যা দাস,অন্বেষা দাস প্রাণেষ সোম,জয় শংকর চৌধুরী,শৈলী দত্তগুপ্ত,স্বরাজ ভট্টাচার্য্য, মাদল,তপন রায়,রুপনিকেতন,মিরাক্কেল চ্যাম্পিয়ন তপন দাস
শিলচর শ্রীহট্ট সম্মিলনী আসাম, এস আর ভিশন পারফর্মীং আর্ট একাডেমি ( আগরতলা, ত্রিপুরা)।
প্রমুখ শিল্পী বৃন্দ এবং
বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পী রা হলেন লাভলী দেব লাভলী লস্কর,রাজু চক্রবর্তী, অনুপম কুমার পাল, পঙ্কজ দেব, ও ডা: অরুপ রতন চৌধুরী। এই দুদিনের সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানটির আহবায়ক ছিলেন
কৃষ্ণা দাস এবং সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বাপ্পু এন্দ। সবমিলিয়ে সমগ্র অনুষ্ঠানটি এক কথায়
প্রানবন্ত হয়ে ওঠে
