Select Language

[gtranslate]
২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ শুক্রবার ( ১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ )

শিউলিপুর খালপাড়ে লক গেট বিপর্যয়ে রাতভর উদ্ধার তৎপরতা, আজ পরিদর্শনে জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাঝি

কেলেঘাই নদী সংলগ্ন শিউলিপুর খালপাড়ের লক গেটের একটি অংশ হঠাৎ করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গতরাতে আতঙ্ক ছড়ায় ভগবানপুর থানা এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। অতিরিক্ত জোয়ারের জল প্রবেশ করতে শুরু করলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের উদ্যোগে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত তৎপর হয়ে ওঠেন।

খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান ভগবানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সুন্দর পন্ডা। তাঁর উপস্থিতিতে স্থানীয় মানুষ, সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও ভগবানপুর থানার পুলিশ প্রশাসন যৌথভাবে লক গেট বরাবর অস্থায়ী মেরামতির কাজ শুরু করে। তৎক্ষণাৎ নদীর তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ তৈরি করে জল আটকানো হয়, ফলে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন বিভূষণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সৌরভ কান্তি বেরা, ভগবানপুর থানার ওসি শাহেনশাহ হক, এবং অসংখ্য পঞ্চায়েত সদস্য ও গ্রামবাসী।

 

আজ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন, গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আশ্বাস দেন যে, ক্ষতিগ্রস্ত লক গেটটি দ্রুত নতুন উন্নত প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি শিউলিপুর থেকে তালতলা পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার খাল সংস্কারের কাজও হাতে নেওয়া হবে।

জেলাশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক মনোজিৎ যাদব, পটাশপুর ব্লকের বিডিও শান্তা চক্রবর্তী, ভগবানপুর ব্লকের বিডিও বিকাশ নস্কর, সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সুন্দর পন্ডা, উপপ্রধান সৌরভ কান্তি বেরা সহ জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ও স্থানীয় মানুষ।

 

অরূপ সুন্দর পন্ডা বলেন

“রাতের অন্ধকারে যখন গ্রামবাসী আতঙ্কে ছিলেন, তখন প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ মিলে আমরা একযোগে কাজ করেছি। মানুষের নিরাপত্তাই আমাদের প্রথম দায়িত্ব।”

 

প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। এলাকাবাসী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

Related News

Also Read