পোর্টেবেল জ্যামার ও রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ডিটেক্টরএর সাহায্য নিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটন্স্য বিহারের তিন দুষ্কৃতিকে দোষী সাব্যস্ত করল চুঁচুড়া আদালত।কাল সাজা ঘোষনা।
স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থার অফিসে ডাকাতি করতে এসে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালিয়ে পালানোর সময় ধরা পরেছিল বিহারের ডাকাত দল।আজ চুঁচুড়া আদালতের ফার্স্ট ফার্স্টট্রাক কোর্টের বিচারক শিব শঙ্কর ঘোষ অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন।আগামী কাল হবে সাজা ঘোষণা।
২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে বেসরকারী স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতি হয়।ডাকাতির খবর পেয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ ও গোয়েন্দারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।ঘিরে ফেলে গোটা এলাকা।ডাকাত দল সোনা নিয়ে পালাতে গিয়ে পুলিশের মুখে পরে।পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুঁড়তে থাকে।পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়।চন্দননগর থেকে দুই দুষ্কৃতিকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করে।
নাকা চেকিং শুরু হয় বিভিন্ন জায়গায়।চুঁচুড়া তুলোপট্টি ঘাটের কাছে এক দুষ্কৃতিকে পালানোর সময় ধরে ফেলে চুঁচুড়া থানার পুলিশ।সেখানেও গুলি চলে।এক দুষ্কৃতি পালিয়ে যায়।
মামলার সরকারি আইনজীবী যিনি স্পেশাল পিপির দায়িত্বে ছিলেন বিভাস চট্টোপাধ্যায় এদিন কৃষ্ণনগর আদালতে থাকায় ভিডিও কনফারেন্সে মামলায় অংশ নেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,বিট্টু কুমার ওরফে করন,গুড্ডু কুমার ওরফে ধর্মেন্দ্র এবং বিট্টু কুমার ওরফে ছোট্টু বিহারের সোনপুর সেখপুরা ও বৈশালী জেলার বাসিন্দা।প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে।মূলত স্বর্ণ ঋণ সংস্থায় ডাকাতি করত এই গ্যাং।
চন্দননগরে ডাকাতির আগে সিঙ্গুরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে।চন্দননগরে রেইকি করে একাধিক বার।
এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন অতনু মাঝি।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডাকাত ধরে ছিলেন তিনি।জ্যামার ব্যবহার করায় ঘটনার সময় যোগাযোগে সমস্যা হয় পুলিশের।
তনন্তে নেমে পুলিশ ডাকাত দল যেখানে ভাড়া ছিল সিঙ্গুরের সেই ঘর থেকে একটি ডায়রী উদ্ধার করে।তাতে অনেক তথ্য মেলে।
হুগলি জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গাঙ্গুলী বলেন,তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত দোষীদের দোষী সাব্যস্ত করে।পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ডাকাত দল ধরে।
আজ অভিযুক্তদের পেশ করার সময় চুঁচুড়া আদালত চত্বর পুলিশে মুড়ে ফেলা হয়।







