Select Language

[gtranslate]
২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বৃহস্পতিবার ( ৫ই জুন, ২০২৫ )

সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের সমাবর্তন উৎসব

কেকা মিত্র

ঐতিহ্য – গুরু শিষ্য পরম্পরা আর আধুনিকতা এই সবটা মিলে সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদ। এই সংস্থার পথচলা শুরু হয়ে ছিলো ১৯৭৬ সালে। এই পরিষদ এর এই বছর অর্থাৎ ২০২৫ এ সুবর্নজয়ন্তী বর্ষ।

উত্তর কলকাতার এই সর্বভারতীয় পরিষদে সারা ভারতের বিখ্যাত শিল্প সংস্কৃতি জগতের শিল্পীরা সংস্কৃতির সব ধারার শিক্ষা প্রদান করেন অগুণিত ছাত্রছাত্রীদের। সারা পৃথিবীতে তাদের অনেক শাখা প্রশাখা রয়েছে ৫ হাজারের ওপর। প্রতি বছরে তাদের সমাবর্তন উৎসবে পাঁচ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রীদের হাতে প্রসংশাপত্র ও মেডেল প্রদান করা হয়। নাচ, গান, অভিনয়, আবৃত্তি, চিত্রকলা, ভাস্কর্য, যোগোব্যায়াম সহ সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতি বছর পুরস্কৃত করা হয় সমাবর্তন উৎসবে প্রতি বছর। সম্প্রতি ভারতীয় ডাক বিভাগ সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদ এর ৫০ বছর উপলক্ষে প্রকাশ করেছে একটি

পোস্টাল স্ট্যাম্প। এই সর্ব ভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের এত দিন বা এত বছরের পথ চলা সার্থক হয়েছে

সদ্য প্রয়াত এই পরিষদের সম্পাদক এবং সঙ্গীত শিল্পী কাজল সেনগুপ্তর জন্য।

গত শনিবার

কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বেলা ১২ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হলো সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদ এর ৪৭ তম সমাবর্তন উৎসব এবং সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলো প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক কল্যাণ সেন বরাট এর পরিচালনায় ১০০০ জন শিল্পীর কন্ঠে সমবেত সঙ্গীত। শুভদীপ চক্রবর্ত্তী র পরিচালনায় ৫০০ জন শিল্পীর কন্ঠে সমবেত আবৃত্তি। পরিবেশিত হয় জনপ্রিয় নৃত্য শিল্পী অমিতা দত্ত ও গুরু সন্দীপ মল্লিক এর পরিচালনায় ২০০ জন শিল্পীর সমবেত কথক নৃত্য, বিখ্যাত নৃত্য শিল্পী থ্যাংকুমনি কুটটির

নির্দেশনায় ২০০ জন শিল্পীর সমবেত ভরত নাট্যম এবং কোহিনুর সেন বরাট ও দ্রাবিন চট্টোপাধ্যায় এর নির্দেশনায় সৃজনশীল নৃত্য। সেই সঙ্গে পরিষদের ১০০০ হাজার শিল্পী ছাত্র ছাত্রীরা গ্যালারীতে বসে চিত্র অঙ্কন করে। এই উৎসবে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে শুভ সূচনা করেন এডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ও অধ্যাপক সমিত রায়, এডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সুরঞ্জন দাস, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত, চিত্রশিল্পী সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, অভিনেত্রী মিতা চ্যাটার্জী, নৃত্য শিল্পী অমিতা দত্ত ও মহুয়া মুখোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদ এর বর্তমান সম্পাদক ড : শান্তনু সেনগুপ্ত সহ আরো অনেক গুণী ব্যক্তিত্ব। এই বছর কলামনি পুরস্কার পেলেন প্রখ্যাত চিত্রকর যোগেন চৌধুরী, জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রানী সেন, বিখ্যাত তবলা বাদক বিক্রম ঘোষ। প্রয়াত কাজল সেনগুপ্ত মেমোরিয়াল এ্যাওয়ার্ড পেলেন বর্ষীয়ান সঙ্গীত শিল্পী স্বাগতালক্ষী দাশগুপ্ত। সকলেই তাঁদের মূল্যবান ভাষণে এই সর্বভারতীয় পরিষদের পঞ্চাশ বছরের পথ চলা ও তাদের সারা বিশ্বব্যাপী এই বৃহৎ কর্মকান্ডর কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও ছিলো জীবনকৃতি সন্মান, সর্বভারতীয় পুরস্কার , রত্নমণি , ট্যালেন্ট ও মেরিট পুরস্কার এবং বিশারদ ও রত্ন ডিপ্লোমা প্রদান অনুষ্ঠান। এই পরিষদের

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্তোত্র পাঠ করেন পন্ডিত অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে নৃত্য গুরু সঙ্গীতা চাকির পরিচালনায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং ছাত্র ছাত্রীরা পরিবেশন করেন নানা ধরনের বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান। ছিলো বই প্রকাশ অনুষ্ঠান ও আলোচনা।

সুচারু সঞ্চালনায় ছিলেন এই সময়ের জনপ্রিয় ঘোষক

সুজয়নিল ভট্টাচার্য্য।

এই সমগ্র অনুষ্ঠানের ভাবনা, পরিকল্পনা এবং পরিচালনায় ছিলেন সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদ এর সম্পাদক ড : শান্তনু সেনগুপ্ত।

Related News

19:32