Select Language

[gtranslate]
২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ শনিবার ( ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৫ )

মান্দারমনিতে বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবস উদযাপন

মৎস্যজীবীদের উন্নয়ন ছাড়া বাংলার উন্নয়ন সম্ভব হবে না। সেই কারণে মৎস্যজীবীদের উন্নয়ন প্রয়োজন।শুক্রবার বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবস উদযাপন উপলক্ষে নিউ জলধা মৎস্য খুঁটিতে মৎস্যজীবী সমাবেশে এ কথাগুলি বলেন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরীর উদ্দেশ্যে বলেন সমুদ্র সথী প্রকল্পের টাকা মৎস্যজীবীদের জন্য দেওয়ার। কৃষিতে যেমন স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, মৎস্যতেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হব।

এই সমাবেশে মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন চাকুরীর বাজার খুবই খারাপ। মৎস্য চাষের মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর হতে হবে। মাথা উঁচু করে বাঁচতে হবে। সেই কারণে মৎস্য দপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কাঁথি মহকুমা মৎস্যজীবী খটি উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক তথা বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক লক্ষীনারায়ণ জানা মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। খটির জায়গা সমস্যা, সমুদ্র সাথী প্রকল্প চালু, সহ একাধিক সমস্যার সমাধানের দাবি তুলে ধরেন।

 

এই সমাবেশে এদিনের সভাপতি তথা ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এবং দীঘা ফিশারম্যান এন্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যাম সুন্দর দাস বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবসের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি ১৯৯৭ সালে কিভাবে বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবস প্রণয়ন হয়েছিল তার ইতিহাস তুলে ধরেন এবং মাছ ধরার ক্ষেত্রে ও ব্যন পিরিয়ডের যৌক্তিকতা ও সার্থকতার বিশদ বিবরণ তুলে ধরেন।

 

সম্মেলন শুরুতেই সংগঠনের পতাকা ও সমবায়ের পতাকা উত্তোলন করেন দীঘা রামকৃষ্ণ সারদা আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী নিত্যবোধানন্দজী মহারাজ। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এর মাধ্যমে সভা শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন মিন মিত্র মমরেজ আলী, রামনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ শেখ সিরাজ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সহ মৎস্য অধিকর্তা সৌরেন্দ্রনাথ জানা, সহ মৎস্য অধিকর্তা মেরিন সুমন সাহা, মৎস্য দপ্তরের এ আর সি এস রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ পাত্র, প্রাক্তন সম্পাদক দীনেশ দাস মৎস্যজীবী নেতা রাজকুমার পন্ডা, অশোক মন্ডল সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

 

এই সম্মেলনে নরওয়েতে সম্মানিত মহিলা মৎস্যজীবী কে বিশেষভাবে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। এই সম্মেলনে বিশিষ্ট মৎস্যজীবীদেরও সংবর্ধিত করা হয়।এই সম্মেলনে মোরগ উন্মোচন করে নোনা চাতরের উৎসব সংখ্যার প্রকাশ করেন মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী। এই উৎসব সংখ্যাটি সুন্দরবন সংখা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করল বলে জানিয়েছেন সম্পাদক রাজকুমার পন্ডা।

Related News

Also Read