Select Language

[gtranslate]
২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ শনিবার ( ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৫ )

তমলুকে সিপিএমকে হারালো বিজেপি,জোট সঙ্গী তৃনমূল !

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম কদর্য ভাষায় রাজ্যের শাসক দল তৃনমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কদর্য ভাষায় আক্রমন করেছিলেন।তার প্রভাব পড়লো পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে ।সিপিএমকে হারাতে তৃণমূল এবং বিজেপির জোট বেঁধে গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করল।

রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করলো সিপিএম। যদিও সিপিএমের তোলা এই জোট করার অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল ও বিজেপি উভয়পক্ষ। বিজেপির দাবি আমাদের প্রধান এবং উপপ্রধানের জিতেছে,মিটিং হলে কে সমর্থন সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।




তমলুক ব্লকের বিষ্ণুবাড় ২নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করার সময় বাইরে একই সাথে বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীর সমর্থকেরা গেরুয়া এবং সবুজ আবির মেখে উল্লাসে মাতলেন। আর বোর্ড গঠনের সময় দেখা গেল যে বিজেপির প্রধান মনোনীত প্রার্থী এবং উপপ্রধান মনোনীত প্রার্থীরা, জয় লাভ করেন। বিজেপি জয়ী প্রার্থীরা বেরিয়ে এসে বলেন যে আমরা পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছি,তবে আমাদের প্রধান এবং প্রধান কে আট জন ভোট দিয়েছে। গোপনে ভোট দিয়েছে, তবে কে দিয়েছে সেটা আমরা জানি না?

সিপিএমের অভিযোগ যে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি একই সাথে জোট বেঁধে বোর্ড গঠন করেছে। ১৪ আসনে গ্রাম পঞ্চায়েত ভোট হয়।গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেখানে বিজেপি জয়লাভ করে পাঁচটি আসনে, তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করে তিনটি আসনে, সিপিএম জয় লাভ করে তিনটি আসনে,এবং সিপিএম সমর্থিত নির্দল তিনটিতে আসনে জয় লাভ করে। বোর্ড গঠন করার সময় দেখা যায় যে বিজেপি সমর্থিত প্রধান তিনি ৮টি ভোট পায়ে।
সিপিএম এবং সিপিএম সমর্থিত নির্দল প্রধান ভোট পায়ে ৬টি। সেখানে বিজেপির প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচিত হয়।

যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে তারা বলেন আমরা শপথ গ্রহণ করতে এসেছি তবে ভোটের অংশগ্রহণ করিনি কে কাকে ভোট দিয়েছে বলতে পারব না।

বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা তারা বলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাঁচটি আসনে আমরা জয়লাভ করেছি। কিন্তু আজ প্রধান নির্বাচনের দেখা গেল আমাদের প্রধান এবং উপপ্রধানকে ভোট দিয়েছে ৮ জন জয়ী প্রার্থী। তবে গোপনে ভোট হয়েছে কারা আমাদের সমর্থন করেছে তা আমরা জানিনা। তবে সিপিএমের অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা।

Related News

Also Read