Select Language

[gtranslate]
১২ই পৌষ, ১৪৩১ শুক্রবার ( ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ )

ফের কেন্দ্যামারি-হলদিয়া ফেরিঘাট বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ডানা-র সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে ফেরি সার্ভিস বন্ধের নির্দেশ জারি করল হলদিয়া থানার পুলিশ।  হলদি নদীর নন্দীগ্রামের কেন্দ্যামারি-হলদিয়া ফেরিঘাটে ফেরি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আগামী ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। ফেরি চালানোর জন্য যাত্রী সাধারণের কোনওরকম অনুরোধ গ্রাহ্য করা হবে না বলেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে। অপরদিকে তিন কোম্পানি এনডিআরএফ টিম বুধবার সকাল থেকে দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর বিস্তীর্ণ উপকূল এলাকায় সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার কাজ শুরু করেছে। এদিকে, আলোর উৎসবের আগেই দুর্যোগের অন্ধকার নেমে আসার আশঙ্কায় চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলীয় এলাকার মানুষদের।


পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “আজ, বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি, শঙ্করপুর-সহ উপকলীয় পর্যটনকেন্দ্র থেকে পর্যটকদের ফিরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। হোটেলগুলিকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন করে বুকিং নিতে না বলা হয়েছে। সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উপকূলজুড়ে মাইকিং শুরু হয়েছে। আমরা সমস্ত রকমভাবে
প্রস্তুতি সেরে রেখেছি।” জেলাশাসক আরও বলেন, “কাঁথি ও এগরা মহকুমা এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেইমতো প্রস্তুতি সেরে রাখা হচ্ছে। জমা জল বের করার জন্য পাম্প তৈরি থাকছে। কোথাও ফসল তোলার মতো পরিস্থিতি হলে সেই শস্য তুলে নেওয়ার জন্য চাষিদের বলা হয়েছে। উপকূল এলাকা থেকে প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে ত্রাণশিবিরে সরিয়ে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের দপ্তরে উপকূলীয় এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত, রামনগর ১ ও ২ ব্লকের আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করা হয়। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, সভাধিপতি উত্তম বারিক উপস্থিত ছিলেন। সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৭৬ কিলোমিটার সমুদ্র রয়েছে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত সতর্ক রয়েছে। স্কুলগুলি বুধবার থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে স্কুল খোলার পুনরায় নির্দেশিকা দেওয়া হবে। জেলাশাসক নিজে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। পর্যটকদের উপকূলীয় এলাকা ছেড়ে ফিরে যাওয়ার জন্যে হোটেল সংগঠনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ ধেয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী গভীর সমুদ্রে মাইকিং করে মৎসজীবীদের সতর্ক করা শুরু করেছে এবং উপকূলীয় এলাকায় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য সতর্ক করছে।

Related News

Also Read