পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হিংসা, সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতিবাদে এবং এই পরিবেশ স্বাভাবিক করার দাবিতে পুলিশ সুপার অমরনাথ কে-এর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মানস করমহাপাত্র, সাধারণ সম্পাদক বিকাশ প্রামাণিক, সম্পাদক সুকুমার পট্টনায়ক, জয়ন্ত চৌধুরী, বিশ্বরঞ্জন মন্ডল, কোষাধ্যক্ষ মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য্য, জেলা সেবাদলের চেয়ারম্যান সেখ জাফরুল্লাহ, জেলা যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি সামিউর রহমান, তমলুক ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তপন মাইতি প্রমূখ।

ডেপুটেশানকারীদের অভিযোগ গত কয়েকদিন ধরে ভূপতিনগর থানার অন্তর্গত বরোজ, পাঁউশি, অর্জুন নগর, জুখিয়া, ইটাবেড়িয়া ইত্যাদি এলাকায় বোমা ও বন্দুক নিয়ে এলাকা দখলের লড়াই চলছে। আতঙ্কিত সাধারণ নিরীহ মানুষ। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, শিশুদের মানসিক অবস্থা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ময়না ব্লকের বাকচা এবং নন্দীগ্রাম ও পটাশপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে সংঘর্ষের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গোটা রাজ্যে যেভাবে বোমা ও বন্দুক পাওয়া যাচ্ছে তা স্পষ্টতই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস তৈরির ইঙ্গিত দেয়। ভোট মানে পশ্চিমবঙ্গে আরও গোলাগুলি, আরও সহিংসতা। বাংলায় বোমা তৈরি একটি গৃহভিত্তিক শিল্পে পরিণত হয়েছে। মাঝে মাঝে বিস্ফোরণ হয়।

কংগ্রেসীদের দাবি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বেআইনি অস্ত্রের কারখানা খুঁজে বের করতে হবে। অস্ত্র চোরাচালানকারী এবং দুর্বৃত্তদের অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে এবং রাজ্য সরকারকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। দলীয় রং কখনোই বিবেচনা করা যাবে না।
ডেপুটেশানকারী কংগ্রেসীদের দাবি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা এবং প্রায় ২০টি খুনের ঘটনা ঘটেছিল। পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৩-এর দ্বারপ্রান্তে৷ রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে রাজনৈতিক উত্তেজনা, রাজনৈতিক সহিংসতা শুধু বিরোধী দলের বিরুদ্ধেই নয়, শাসকগোষ্ঠীর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও সমানভাবে বিপজ্জনক।
আমাদের জেলায় দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি জমে উঠেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষ মরিয়া হয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুর্নীতি, সন্ত্রাসও ভয়ের পরিবেশ থেকে মুক্তি চাইছে বলে মানস করমহাপাত্র দাবি করেন।






