প্রদীপ কুমার সিংহ
কামালগাছি থেকে শাসন পর্যন্ত আদি গঙ্গা দু পাড়ে বেআইনিভাবে যেসব দোকান বসেছে তা উচ্ছেদ করার কর্মসূচি নিয়েছিল সেচ দপ্তর থেকে। গত এক সপ্তাহ থেকে এই কাজ করছে। সোমবার সকালে শাসন থেকে বারুইপুর নিহাটা আদি গঙ্গা ধার পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযানে নামে সেচ দপ্তর। শাসন থেকে বেশ কিছু বেআইনি দোকান উচ্ছেদ অভিযান চালালে ও আদি গঙ্গার ধারে বারুইপুর খোদার বাজার লায়ন্স ক্লাব দোতলা ভবন থাকলেও তা ভাঙতে পারনি সেচ দপ্তর।
ওই ক্লাবে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করেছিল। তারপর ক্লাব ভাঙ্গার জন্য জেসিবি নিয়ে আসা হয় তখন ক্লাবের সদস্য সদস্যরা ঝাপিয়ে পড়ে,ক্লাব যাতে না ভাঙ্গা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ক্লাবের সদস্যরা বাইপাসের ওপর লোহার গ্রিল এবং কাঠের তক্তা দিয়ে ও মোটরবাইক রাস্তা হারা হারি করে রাস্তা অবরোধ করে। প্রায় ঘন্টাখানেক পথ অবরোধ করে লায়ন্স ক্লাবের সদস্যরা।বারুইপুর থানার পক্ষ থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনার স্থলে ছিল।
পরে বারুইপুর থানার আধিকারিক সৌমজিৎ রায় এবং বারুইপুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌরভ মাঝি ক্লাবের সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে। পরে ক্লাব ভাঙ্গার কাজ আর করা যায়নি। ক্লাবের সদস্যদের প্রবল চাপের কাছে মাথা নত হয়ে সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। পরে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু অন্যান্য বেআইনি দোকানগুলি সেইগুলি জেসিপি দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ব্যাপারে সেচ অধিকারী কোন কথা বলতে চাইনি। বারুইপুর খোদার বাজার লায়ন্স ক্লাবের সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেন এই ক্লাব প্রায় ১০০ বছর উপর বয়স। বাইপাস তখন হয়নি। ক্লাব টা আগে এখন যেখানে বাইপাস সড়ক আছে সেখানে ছিল। বাইপাসের জমি দেওয়ার পরে ক্লাব আদি গঙ্গার ধারে করা হয়। এই ক্লাবের সরকারি রেজিস্ট্রেশন আছে। আমরা এই ক্লাব কোনমতেই ভাঙতে দেব না।