Select Language

[gtranslate]
২রা ভাদ্র, ১৪৩২ রবিবার ( ১৭ই আগস্ট, ২০২৫ )

“প্রিন্স এন্ড প্রিন্সেস নর্থ বেঙ্গল ট্যালেন্ট হান্টা শো ২০২৫” 

 ইন্দ্রজিৎ আইচ 

 

ফ্যাশন বা অভিনয় অথবা মডেল হতে কার না ভালো লাগে। গ্রামগঞ্জ থেকে শহরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে

বহু প্রতিভা, যারা সঠিক ভাবে সুযোগ পায় না, তাদের প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও হারিয়ে যায় অন্ধকারে। সেই সব প্রতিভা কে তুলে ধরতে গত ৩রা জুলাই ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক বিশেষ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয় । খুব সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে “প্রিন্স এন্ড প্রিন্সেস নর্থ বেঙ্গল ট্যালেন্ট হান্টা শো ২০২৫”।

এই প্রতিভা অন্বেষণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে “ফার্স্ট কাট এন্টারটেইনমেন্ট”।

লক্ষ্য একটাই—উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা এমন অনেক প্রতিভা যারা আজও উপযুক্ত সুযোগের অপেক্ষায়, তাদের খুঁজে বের করে সামনে আনা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিশিষ্টজন। ছিলেন প্রশাসনিক পদাধিকারী এবং খ্যাতনামা ফটো আর্টিস্ট অনুপম হালদার। তিনি বলেন, সমাজে এখনও এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র সুযোগের অভাবে এগিয়ে যেতে পারেন না। তাই এই ধরনের উদ্যোগ সমাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনুপম হালদারের মতে, যত বেশি এই ধরনের প্রতিযোগিতা হবে, তত বেশি মানুষ উঠে আসার সুযোগ পাবেন, বিশেষ করে তারা যারা অবহেলিত বা পিছিয়ে থাকা অংশ থেকে এসেছেন।

অনুষ্ঠানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার অরিন্দম চ্যাটার্জি। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য কোনও প্রবেশমূল্য রাখা হচ্ছে না। তার কথায়, সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে প্রত্যেক প্রতিভাবান সুযোগ পেতে পারেন অর্থনৈতিক অবস্থার বাধা ছাড়াই।

এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন “আইকনিক ইভেন্ট প্ল্যানার” এর ডাইরেক্টর, মডেল ও অভিনেত্রী সাথী সরকার, খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজাইনার নীতু সাহা, প্রযোজক শ্যামাপ্রসাদ দত্ত ও শম্পা দত্ত এবং সমাজসেবী অনির্বাণ সামন্ত। সকলের মতে, এই ট্যালেন্ট হান্ট কেবল একটি ফ্যাশন শো নয়—এটি একটি সামাজিক উদ্যোগ, যার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের জন্য তৈরি হবে এক শক্তিশালী মঞ্চ।

 

“প্রিন্স এন্ড প্রিন্সেস নর্থ বেঙ্গল ট্যালেন্ট হান্টা শো ২০২৫” হয়ে উঠতে চলেছে এমন এক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রতিযোগিতার চেয়েও বেশি গুরুত্ব পাবে প্রতিভা এবং তাদের বিকাশের সুযোগ। আয়োজনটি নিঃসন্দেহে রাজ্যের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এক ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

Related News

Also Read

21:29