প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রাস্তার ধারে যত্রতত্র ইমারতী দ্রব্য ফেলে রাখার কারণেই পথ দুর্ঘটনার বলি হলো এক শিক্ষক। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ কাঁথি দেপাল রাজ্য সড়কের মাউন্ট লিটেরা জি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়। স্থানীয় সূত্র এবং রাস্তায় থাকা নজরবন্দী ক্যামেরার ফুটেজ থেকে জানা যায় প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক আরিফ মোহাম্মদ খান (৫৩) এর বাড়ি থেকে কাঁথির দিকে বাইক নিয়ে আসছিলেন। এমন সময় উল্টো দিক থেকে একটি ডাম্পার লরি এসে যায়। সেই মুহূর্তে রাস্তার ধারে পড়েছিল বালির স্তুপ।
লরিটিকে সাইড দিতে গিয়ে বালিতে বাইকের চাকা চলে যায়। টাল সামলাতে না পেরে রাস্তার উপরে বাইকসহ পড়ে যায়। দ্রুতগতির লরিটি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে লরির চাকা তার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। লরির নম্বর ডব্লিউ বি ৩১ /৭২৬৬। ঘটনাস্থলেই শিক্ষক আরিফ মহম্মদ খান এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর আরিফ এর আদি বাড়ি রামনগর ২ ব্লকের কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেরায়। বর্তমান কাঁথি শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করতেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষজন প্রতিবাদের স্বরব হয়। দাবি উঠেছে রাস্তার ধারে আর নয় ইমারতি দ্রব্য। অভিযোগ রাস্তার ধারে ইমারতী দ্রব্য, কাঠ সহ অন্যান্য জিনিস রাখা হয়। যার কারনে প্রতিনিয়ত পথ দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসন নিরব কেন। এভাবে রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়কের ধারে মারুতি দ্রব্য অবাধে ফেলে রেখে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। এর বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নাই নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায় ও পরিবারের।
তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের সভাপতি হাবিবুর রহমান। এছাড়াও তার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে এবং তার বাড়িতে ছুটে যান জেলা সভাধিপতি ও বিধায়ক উত্তম বারিক সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।