Select Language

[gtranslate]
২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বৃহস্পতিবার ( ১৩ই মার্চ, ২০২৫ )

।। দীর্ঘ ছুটির বকেয়া পাঠ ও শিশুর পুষ্টি পূরণের ব্যবস্হা গ্রহণের দাবি ।।

বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারির কাছে
দীর্ঘ ছুটির বকেয়া পাঠ ও শিশুর পুষ্টি পূরণের ব্যবস্হা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। দীর্ঘ ৫২ দিন ছুটির পর
আজ স্কুল খুলেছে। ছুটির জন্য দ্বিতীয় পর্বের পড়াশোনা দেড় মাস পর আজ শুরু হলো। এর ওপর পর্ষদ
আগামী ১১-২৩ আগষ্ট দ্বিতীয় পর্বের মূল্যায়ন গ্রহণের নির্দেশিকা (২৪.৩.২০২৩ তারিখের ৭১৫/ডব্লিউ
বি বি পি ই/২০২৩) জারি করেছে।

কার্যত দ্বিতীয় পর্বের সিলেবাস পড়ানোর জন্য চার মাসের সময়সীমা কমে মাত্র মাত্র ৫৫ দিন দাঁড়ালো।
ফলে একদিকে দীর্ঘ ছুটিতে ছাত্রের ভুলে যাওয়া পাঠ উদ্ধার আর অন্যদিকে এতো অল্প সময়ে সিলেবাস
সম্পূর্ণ করার ব্যাপারে শিক্ষক সমাজ অতিশয় চিন্তিত।


পাশাপাশি মিড -ডে মিল বন্ধ থাকলেও করোনার দু’বছর এবং গত বছর দীর্ঘ ৫৬ দিনের ছুটিতে শিশুদের
খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবছর কিছুই দেওয়া হয়নি। শিশুদের অপুষ্টি দূর করতে জানুয়ারি
থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১৬ সপ্তাহ ‘অতিরিক্ত পোষণ’ প্রকল্পে প্রতি সপ্তাহে ডিম, মাংস, ফল ইত্যাদি শিশুদের
খাওয়ানোর জন্য অতিরিক্ত ২০ টাকা করে ধার্য করা হয়েছিল। বর্তমানে আগামী ৪২ সপ্তাহ পুনরায় ‘অতিরিক্ত
পোষণ’ প্রকল্প চালু থাকবে বলে সংবাদে প্রকাশ। কিন্তু তা কেবলমাত্র ডুয়ার্স, সুন্দরবন, জঙ্গলমহল এলাকার
শিশুদের জন্য।


সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা শিশুদের পুষ্টি নিয়ে এহেন বিভেদের তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি
পূর্বের ন্যায় ছুটির বকেয়া খাদ্যসামগ্রী প্রদান এবং সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘অতিরিক্ত পোষণ’ চালু রাখার
দাবি করেন।
সেই সঙ্গে শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ছুটির বকেয়া পাঠ পূরণের ব্যবস্হা
গ্রহণের দাবি জানান।

Related News