কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রামনগরের বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস পিছিয়ে পড়ার কারণ সমান্তরাল সংগঠনকে দায়ী করলো এলাকার ব্লক নেতৃত্ব।কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে তৃনমূল প্রার্থীর হারের জন্যে খোদ প্রার্থী ও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিকেই কাঠগড়ায় তুললো তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্বরা ।
রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের কারাগার মন্ত্রী অখিল গিরি ও ব্লক নেতৃত্বকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের সময়ে রামনগর বিধানসভায় সমানন্তরাল সংগঠন তৈরি করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক ও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পীযুষকান্তি পন্ডা। সমানন্তরাল সংগঠন তৈরি করার জন্যই লোকসভা নির্বাচনে রামনগর বিধানসভায় পিছিয়ে পড়েছে শাসক দল বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসনেতৃত্ব।
রবিবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করে কাঁথি লোকসভা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী উত্তম বারিক ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ কান্তি পণ্ডা’র উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন রামনগর ২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক নেতৃত্বরা।
একই সাথে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন পটাশপুর বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল ধরে রাখতে পারেনি। জেলা পরিষদের জিতে যেখানে সভাধিপতি হয়েছে সেখানেও তৃণমূল ভোট কমলো কোন?তৃনমূল হারার পরেই এবার প্রকাশ্যে এলো তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ।
রবিবার রামনগর ২ ব্লকের বালিসাই তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পার্টি অফিসে বিধানসভার পর্যালোচনা নিয়ে ব্লক নেতৃত্ব’দের নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রামনগর বিধানসভা তৃণমূল কমিটির পর্যালোচনা সভায় উঠে এলো এমনই মতামত।
রামনগর বিধানসভা কমিটির আহ্বায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক নিতাই চরণ সারের আহ্বানে অনুষ্ঠিত এই সভায় দলের ২ ব্লকের সভাপতি, যুব সভাপতি এবং ২ ব্লকের ১৭ টি অঞ্চলের সভাপতির উপস্থিত হন। সেখানে লোকসভা নির্বাচনে রামনগর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের ভরাডুবির কারণ নিয়ে নানান মতামত উঠে আসে। সমন্বয়ের অভাবই যার সারমর্ম বলে জানান তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে আগামী দিনে ৯ হাজার ২০০ ভোটের ঘাটতি কিভাবে পূরণ হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।