দিঘার বহু প্রতিক্ষীত জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার আগে মঙ্গলবার শুরু হয় মহাযজ্ঞ।মঙ্গলবার দুপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেন মহাযজ্ঞে। পূর্ণাহুতির পরে মমতা বলেন, সমস্ত ধর্ম-বর্ণের মানুষ এসেছেন এখানে। প্রত্যেকেই আমাদের অতিথি। ধর্ম কখনও মুখে প্রচার করে হয় না। ধর্মে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার জিনিস। মা-মাটি-মানুষ ভাল থাকলে আমি ভাল থাকব। তাই সকলের হয়ে প্রার্থনা করছি।
গত ২৫ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছে পুজো পাঠ। ওই দিন বাস্তু হোম করা হয়েছে। গত ২৬, ২৭ ও ২৮ এপ্রিল নিয়ম মেনে হয় কলস যাত্রা। আয়োজন হয় কীর্তনেরও। আর আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাযজ্ঞ। মহাযজ্ঞ শেষ হতে হতে সন্ধে হবে। যজ্ঞ শেষে সন্ধে নাগাদ ফুলে সাজানো বিছানায় শোয়ানো হবে জগন্নাথের মূর্তি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বুধবার বেলা আড়াইটে থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। ৩টের সময় দ্বার উদ্ঘাটন ও প্রাণ প্রতিঢঠা রয়েছে।পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বিধান অনুযায়ী তা করবেন পুরীর রাজেশ দৈতাপতি। তার পর ৫ মিনিটের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হবে। তার পরে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে জেলা, রাজ্য, প্রতিবেশী রাজ্যের বহু পুণ্যার্থী যাবেন সৈকত শহর দিঘায়। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী,আজ বিশ্বশান্তির জন্য শুরু হয় মহাযজ্ঞ। ১০০ কুইন্টাল আম ও বেলকাঠ এবং ২ কুইন্টাল ঘি পোড়ানো হয়।দু’বেলা পুজো এবং হোমযজ্ঞ চলছে। পুরীর মন্দির থেকে ৫৭ জন জগন্নাথদেবের সেবক এবং ইসকন থেকে ১৭ জন সাধু তাতে শামিল হয়েছেন।