“অভাবে নয় মেধার বিলুপ্তি” এই বার্তার পক্ষে ২০১৪ সাল থেকে নিরন্তন কাজ করে চলেছে ফেয়ার ফিল্ড এক্সলেন্স পরিবার। তাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে প্রতি বছর তারা কিছু দুস্থ মেধাবীদের খোঁজ করে তাদের প্রতি মাসে স্কলারশীপ প্রদান করে এই সংস্থা।
লিখিত পরীক্ষা, ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে কিছু ছেলে মেয়েকে বেছে নেওয়া হয়।তারপর সংস্থার সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাড়ির আর্থিক অবস্থার খোজখবর নেন।তার পরেই চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এ বছর ফেয়ার ফিল্ড এক্সলেন্স স্কলারশীপ এর জন্য ১৭ জন ছেলে মেয়েকে বেছে নেওয়া হয়।
রবিবার অযোধ্যাপুরের মঞ্জুশ্রী হলে এই ১৭ জন ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সাথে মিলিত হয় সংস্থার সদস্যরা। সেখানে সংস্থার দৃষ্টিভঙ্গি ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সামনে তুলে ধরা হয়।
একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৭ জন ছাত্রছাত্রীদের হাতে তাদের প্রথম মাসের স্কলারশীপ এর অর্থ রাশি তুলে দেওয়া হয়।
সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান মেন্টর নির্মল জালান,”এক কোসিস” সংস্থার সদস্য অনিল ঝাওয়ার,সুনিল জৈন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন ফেয়ার ফিল্ড এক্সলেন্স সংস্থার সদস্য তেহেরান হোসেন,সনাতন জানা,শান্তি চক্রবর্তী, সন্তু পাল,অনুপম দাস,সৌরভ মন্ডল,শান্তনু বেরা,প্রসেনজিৎ মাইতি,নাসিম আলি খান,সুভাষ রায়,রাজ কিরণ জানা,শঙ্কর ভূঞা,মুস্তাক আলি খান,অনিমেষ মন্ডল প্রমুখ।
সংস্থার কাজকর্ম দেখে আগ্রহী হয়ে আজ সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণ করেন দেশপ্রাণ ব্লকের অধিবাসী অমিত দাস। সম্পাদক সনাতন জানা বলেন,” আমরা যাদের স্কলারশিপ প্রদান করে, শুধু কিছু অর্থ দিয়েই বসে থাকি না। নিয়মিত ভাবে আমাদের সদস্যরা এই ছেলে মেয়েদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন।তাদের পড়াশুনার অগ্রগতির খোঁজখবর নেন।আমাদের সংস্থার অনেক সদস্য আছেন যারা দেশ বিদেশের অনেক নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন উনারা এই ছেলে মেয়েদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন এবং পড়াশুনার বিষয়ে এদের পরামর্শ দান করেন,কোনো বিষয়ে কোনো অসুবিধা হলে অনলাইনে এদের পাঠদান করেন।এই ভাবে আমরা ছেলেমেয়েদের পাশে থাকি”।
সভাপতি তেহেরান হোসেন বলেন,” আমরা এই ছেলে মেয়েদের পাশে ততদিন পর্যন্ত দাঁড়াবো যতদিন না ওরা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা শুধু ওদের পাশে দাঁড়াবো তা নয়, ওরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে ওদের ও কিছু জন অভাবী মেধাবীর পাশে দাঁড়াতে হবে। এই ভাবে সম্মিলিত ভাবে আমরা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।”