Select Language

[gtranslate]
৩০শে পৌষ, ১৪৩১ মঙ্গলবার ( ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ )

স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষেও উপেক্ষা ডান্ডা বেলবনীর শহীদ সংগ্রামীদের ?

গান্ধীজীর নেতৃত্বে ১৯৩০ সালের ১২ মার্চ ডান্ডি পদযাত্রা বা লবণ সত্যাগ্রহ শুরু হয়। এই সত্যাগ্রহ ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। লবণ পদযাত্রা ঔপনিবেশিক ভারতে ব্রিটিশদের একচেটিয়া লবণ নীতির বিরুদ্ধে একটি অহিংস করপ্রদান-বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলন।

সেই আন্দোলনে সারা দেশের সাথে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরের ডান্ডা বেলবনীর বাসিন্দারাও যোগ দিয়েছিলেন।আর তার প্রত্যুত্তরে ইংরেজদের থেকে জুটেছিলো গুলি !

১৯৩০ সালের ১৩ মার্চ আন্দোলনস্থলেই শিব প্রসাদ বেরা নামের এক স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ হয়ে যান।ইংরেজ পুলিশের আন্দোলনকারীদের উপর নির্বিচারে চালানো গুলিতে আহত হন আরো অনেকে।তাঁদের মধ্যে ৮ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী চিকিৎস্যা চলাকালীন দেশের জন্যে প্রাণ ত্যাগ করেন।এতো গুলো মানুষের আত্মত্যাগের সেই করুন গাঁথা আজও অজানা রয়ে গেছে দেশবাসীর কাছে।



পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর-২ ব্লকের কাদুয়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ডান্ডা বেলবনী গ্রাম।নিজেদের এলাকার এই মহান মানুষদের স্মৃতি রক্ষা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই।তাঁদের আক্ষেপ কেন্দ্র সরকার দেশ জুড়ে মহাসমারোহের সাথে স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ উদযাপন করলেও ডান্ডা বেলবনীর আন্দোলন,সেখানকার বাসিন্দাদের আত্মত্যাগ আজও রয়ে গেছে অন্ধকারে।

সেই বঞ্চনার অবসান চান কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমিয় রঞ্জন মাইতি,জেলা পরিষদ সদস্য তমাল তরু দাস মহাপাত্র সহ এলাকার সকল স্তরের বাসিন্দারা।

গান্ধীজীর আহ্বানে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়ে শহীদ স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের কথা,তাঁদের আন্দোলনের ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পার্ক গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয়রা।

নিজেদের পূর্ব পুরুষের গৌরব গাঁথা নিজেরা তুলে ধরার উদ্যোগ নিলেও তাঁদের প্রশ্ন দেশের সরকার কি করে এতো বড় বলিদানের ঘটনাকে ভুলে যায় ?

Related News

Also Read