একুশে মার্চ বিশ্ব পুতুল নাট্য দিবস হিসেবে স্বীকৃত।আর এই দিন একটি অসাধারণ পুতুল নাট্ক মঞ্চায়ন করলো “শিল্পাঞ্জলি” গোবরডাঙ্গা শিল্পায়ন স্টুডিওতে।
পরিবেশিত হলো রাজা রামমোহন রায়ের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনে করে পুতুল নাট্য প্রযোজনা “ভারতপথিক”। একই সাথে সমাপ্ত হলো 36তম শিল্পাঞ্জলি উৎসব।
রামমোহন রায়ের আড়াইশো তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হলো। এই পুতুল নাটকে ঐতিহ্যবাহী দন্ডপুতুল, সুতোপুতুল এবং ছায়া পুতুলের ব্যবহার করা হয়েছে। নির্মেদ পাণ্ডুলিপি, ঘটনার নাটকীয়তা এবং সর্বোপরি সময়োপযোগী পুতুলের ব্যবহারে নাটকটি সকল দর্শকের মনোগ্রাহী হয়। এদিন প্রকাশিত হল ৩৬ তম শিল্পাঞ্জলি উৎসবের স্মারক পুস্তিকা।
উপস্থিত ছিলেন গোবরডাঙা হিন্দু কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ হরেকৃষ্ণ মন্ডল, ইছাপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক পাল,সাংবাদিক অলোক বিশ্বাস, নাট্য নির্দেশক আশিষ চ্যাটার্জী, সাংবাদিক সরোজ চক্রবর্তী, এবং সাংবাদিক ইন্দ্রজিৎ আইচ। সংস্থার পক্ষ থেকে সকল অতিথিদের সংবর্ধনা জানানো হয়।
অধ্যক্ষ ডঃ হরেকৃষ্ণ মন্ডল তার স্বাগত ভাষণে বলেন পুতুল শিল্পকলার মতো একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পমাধ্যম নিয়ে শিল্পাঞ্জলির চর্চা ও তার প্রচার ও প্রসারের এই প্রয়াস নব প্রজন্মের কাছে একটি নতুন বার্তা নিয়ে আসবে। অশোক পালের ভাষণে উঠে আসে এই সংস্থার পরিচালনায় বিভিন্ন প্রান্তিক স্কুলে নিয়মিত কর্মশালার কথা।
শিল্পাঞ্জলির আমন্ত্রণে এই দিন উপস্থিত ছিলেন ঐতিহ্য বাহী পুতুল শিল্পী রামপদ ঘড়ুই তার বেণী পুতুলের প্রর্দশনী নিয়ে। তার বেণী পুতুলের প্রর্দশনী প্রত্যক্ষ করলেন উপস্থিত দর্শকমন্ডলী ।
উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়ে সংস্থার সম্পাদক মলয় কুমার বিশ্বাস ৩৬ তম শিল্পাঞ্জলি উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।