সন্দীপ শ্রীবাস্তব
শ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন ; ” যত্র জীব তত্র শিব। ” বলতেন ” জীবই শিব। সেজন্যই তিনি বলতেন ; ” মানুষ কি কম গা?
তিনি বলেছেন, মানুষই স্বয়ং ঈশ্বর। মানুষের এই মর্যাদা সম্পর্কে শ্রীরামকৃষ্ণ ছিলেন সর্বদা সচেতন। কেউ যদি নিজেকে ক্ষুদ্র বা দুর্বল ভাবত অথবা নিজেকে অস্পৃশ্য বলে, নীচজাতি বলে সংকুচিত হতো তাতে
শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে বলতেন – ও কী কথা! তুমি যে শিব গো! তাঁর চোখে সব মানুষের মধ্যে নারায়ণের অধিষ্ঠান।
তিনি বলতেন ; ” সাধুরুপ নারায়ন, ছলরুপ নারায়ন, খলরুপ নারায়ন, লুচ্চরুপ নারায়ন, ‘ খলরুপ নারায়ন “, ‘ লুচ্চরুপ নারায়ন’ — একথা কি আমরা কখনো শুনেছি, আমাদের সভ্যতার ইতিহাসে? অথবা শুনেছি, সব নারীর মধ্যেই আমার মা আনন্দময়ী —
যেমন শ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন? সতীর মধ্যেও যেমন জগজ্জননী, বারবনিতার মধ্যেও তেমনি তিনি। বারবনিতাকে দেখেও বলেছেন ; ” মা, তুই এইরুপেও আছিস! শ্রীরামকৃষ্ণ একথা বলতে পারতেন, কারন তিনি মানুষের মধ্যে নারায়ণকে, জীবের মধ্যে শিবকে, নারীর মধ্যে জগজ্জননীকে সর্বদা দেখতেন। সভ্যতা ও ধর্মের ইতিহাসে এ এক নতুন উদঘোষনা। এই একই কথা স্বামীজী পরবর্তী কালে বলেছেন; ” একমাত্র যে ভগবান আছেনই আছেন, একমাত্র যে ভগবানে আমি বিশ্বাস করি, নিখিল আত্মার সমষ্টিরুপে যে ভগবান বিদ্যামান, সেই ভগবানের পূজার জন্য যেন আমি বারবার জন্মগ্রহণ করি! ..