পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্প শহরের মেয়ে সায়নিকা মাজি টেবিল টেনিসে জুনিয়র ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হল। এই প্রথম হলদিয়ার কোনও খেলোয়াড় টেবল টেনিসে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হলেন।স্বাভাবিক কারনে সারা শিল্প শহর জুড়ে এই নিয়ে খুশীর আমেজ।

চেন্নাইয়ের পেরিমেট’এ টেবিল টেনিস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া আয়োজিত ৮৪তম ইন্টার স্টেট ইউথ এন্ড জুনিয়র টেবল টেনিস চ্যাম্পয়নশিপ প্রতিযোগিতা হয় ৮-১১ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

সেখানেই অনূর্ধ ১৭বিভাগে মহারাষ্ট্রের তানিশা কোটেচাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সায়নিকা। সায়নিকা দিল্লি রাজ্যের হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন।
টেবিল টেনিসে সায়নিকার হাতেখড়ি হলদিয়ার কোচ সত্যজিৎ সেনগুপ্তের হাত ধরে। কলকাতায় জয়ন্ত পুশিলালের টেবিল টেনিস ছাত্রী বছর তিনেক আগে ভাল র্যাঙ্কিং করে খেলো ইন্ডিয়া’-তে প্রশিক্ষণের সুযোগ পান। বর্তমানে হরিয়ানার সোনপথে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বিকাশ রাঠি ও দীপক মালিকের কাছে।
এই প্রতিযোগিতার ফাইনালের প্রতিদ্বন্দ্বী মহারাষ্ট্রের তানিশাকে ৪-০গেমে কার্যত উড়িয়ে দেন সায়নিকা। তিনি অনূর্ধ ১৫ বিভাগের খেলোয়াড় হলেও এবার অনূর্ধ ১৭বিভাগে অংশ নিয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ক্রোয়েশিয়ার ভারাজদিন শহরে আয়োজিত বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের জুনিয়র বিভাগে (অনূর্ধ ১৫) পোল্যান্ডের প্রতিযোগীকে হারিয়ে জয়ী হন ক্লাস নাইনের ছাত্রী সায়নিকা। ওই খেলায় ফাইনালে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ৩-২ গেমে সায়নিকা হারিয়ে দেন পোলান্ডের নাতালিয়া বগদানোভিচকে।
সায়নিকার বাবা সৌমেনকুমার মাজি হলদিয়া আইওসি রিফাইনারির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসিসটেন্ট পদে রয়েছেন। সেই সূত্রে সায়নিকা থাকতেন হলদিয়া টাউনশিপের আইওসি ক্লাস্টার টেন আবাসন এলাকায়। তবে খেলার জন্য সায়নিকা বর্তমানে হরিয়ানায় থাকেন। সায়নিকার বাবা সৌমেনবাবু বলেন, করোনার সময় অ্যাকাডেমি বন্ধ থাকায় বাড়ি ফিরে এসেছিল। সে সময় আইওসি সমবায়ের হলঘরে একটি টেবিল (টেনিস বোর্ড জোগাড় করি। সেখানেই টানা দেড় বছর নিয়মিত প্র্যাকটিস করে। গত বছর বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর মনোবল বাড়ে সায়নিকার। সেজন্য এবার বড়দের গ্রুপে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁর কোচ। এবার জাতীয় টুর্নামেন্টে খেলার আগে প্রতিদিন ১০-১২ঘণ্টা করে নিয়মিত প্র্যাকটিস করেছে






