কোলাঘাটের পথ দুর্ঘটনায় সিভিক ভলেন্টিয়ারের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে পথ নিরাপত্তা বিষয়ে আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপারের নিকট নাগরিক সুরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। কমিটির মুখপাত্র নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে ১১৬ বি মেচেদা-হলদিয়া-দীঘা জাতীয় সড়ক ও ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগস্থল কোলাঘাটের হলদিয়া মোড় সংলগ্ন স্থানে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সুদীপ চক্রবর্তী নামে তরতাজা এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্যু হয়। ঘটনার বিবরনে জানা যায় ,প্রাক্তন এক পুলিশ অফিসারের গাড়ি ওই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। এবং এও জানা যায়,ওই গাড়ির ড্রাইভার মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। এক ভি আই পি’র গাড়ি পাস করার পর ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার যখন পড়ে যাওয়া একটি গার্ডরেল সোজা করে ফিরছিল,তখনই প্রচন্ড গতিতে আসা ওই গাড়িটি ওকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
নারায়নবাবু আরো বলেন,ওই ঘটনার পর থেকে জাতীয় সড়কের ওই এলাকায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার পরিপেক্ষিতে আরো কয়েকদিন হয়তো ওই নাকা চেকিং চলবে। কিন্তু এরপরও সাধারণ মানুষ কি জীবনের ঝুঁকি ছাড়া জাতীয় সড়কে স্বচ্ছন্দে হেঁটে বা যে কোন গাড়িতে যাতায়াত করতে পারবেন? জাতীয় সড়কে যাতায়াতকারী সমস্ত রকম গাড়ির ড্রাইভাররা নেশাগ্রস্ত না হয়ে যে গাড়ি চালাবে,এর কোন নিশ্চয়তা কি পুলিশ প্রশাসন দিতে পারবে? আমাদের সরকার বাহাদুরেরা যেভাবে মদের দোকানের লাইসেন্স দিচ্ছেন ও দোকানগুলিকে মদবিক্রির কোটা বেঁধে দিচ্ছেন তাতে নাকা চেকিং করে কি এই সমস্যার সমাধান হবে? প্রশ্ন উঠছে, প্রায় বছর খানেক আগে ওই স্থানের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য প্ল্যানিং ম্যাপ তৈরি করে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও কেন তা এখনও কার্যকর করা হয়নি?
শুধু তাই নয়,ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনা ছাড়াও জাতীয় সড়কে খুন-ছিনতাই-রাহাজানি প্রভৃতি কার্যকলাপ তো লেগেই রয়েছে।
নাগরিক সুরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ সুপারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে,এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে গেলে জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ধারে মদ বিক্রি বন্ধের পাশাপাশি,ড্রাইভাররা মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা তা নিয়মিত চেকিং করে তাদের উপযুক্ত শাস্তির বন্দোবস্ত করতে হবে। এছাড়াও কোন এক নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়িয়ে না থেকে পুলিশের টহলদারি আরো বাড়াতে হবে,যাতে দুর্বৃত্তরা ভয় পায়।





