Select Language

[gtranslate]
২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বুধবার ( ১২ই মার্চ, ২০২৫ )

কেয়ার সুন্দরবন এর আয়োজনে  ১৭ তম স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির

কেকা মিত্র :: স্বামী বিবেকানন্দ তার বানীর মাধ্যমে প্রচার করেছিলেন ,
জীবে প্রেম করে যেই জন
সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
সেই ব্রত নিয়ে দীর্ঘ তিন বছর ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষদের জন্য নানা ধরনের  সামাজিক কাজ করে চলেছে
কেয়ার সুন্দরবন।মঙ্গলবার এই সংস্থার তৃতীয় বর্ষ পালন করলো দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের দয়াপুর গ্রামে স্বাস্থ্য শিবিরের মাধ্যমে। দয়াপুর সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপ এলাকা।এইদিন গ্রামের মোট ৪২ জন নারী পুরুষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। ছিলো সুগার, হিমোগ্লোবিন, প্রেসার পরীক্ষা। ডাক্তার অমিতাভ ভট্টাচার্য এবং ডাক্তার কাজল কোনার এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। বিশেষ সহযোগিতায় ছিলো এপেক্স ল্যাবরেটরিজ।
এপেক্স  ল্যাবরেটরিজ হিমোগ্লোবিন টেস্ট করে। কেয়ার সুন্দরবন এর আয়োজনে এই স্বাস্থ্য শিবির অনুষ্ঠিত হলো সুন্দরবনের দয়াপুর গ্রামে প্রত্যন্ত দীপ এলাকায়। ৪২ জন এই স্বাস্থ্য শিবিরে চিকিৎসা করায়। তাদের সুগার, হিমোগ্লোবিন, প্রেসার পরীক্ষা করা হয়। কেয়ার সুন্দরবন এর সম্পাদক ভাস্কর পাল এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন এটা তাদের তৃতীয় বর্ষপূর্তি র অনুষ্ঠান। ২০২২ সালে এই কেয়ার সুন্দরবন এর পথ চলা শুরু হয়েছিলো। এটা তাদের এই সুন্দরবনে ১৭ তম স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির। তিনি আরো জানান
সর্বজনশ্রদ্ধেয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য দীর্ঘপ্রায় সাড়ে চার দশক পাহাড় থেকে সাগর গরীব মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবায় নিয়মিত – নিরলস ব্রতী আছেন। উনি “কেয়ার সুন্দরবন” এর কেবলমাত্র মুখ্য উপদেষ্টাই নন – সুন্দরবনের এই অংশের প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্য পরিসেবার প্রায় দুঃসাধ্য কর্মকান্ডের প্রধান সেনাপতি হিসাবে সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দান করেন। প্রথম দিন থেকেই সুন্দরবনের নদীর ঘাটগুলিতে “নদীর ঘাটে শ্রেণীর পাশে” কর্মসূচীর মাধ্যমে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও মহিলাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রায় সবটাই নিজের উদ্যোগে পরিচালনা করেন ডাঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য। ভাস্কর পাল আরো জানালেন আমাদের সভাপতি হলেন বিনয় বসু মল্লিক। উপদেষ্টা হলেন সুপ্রিয় গুপ্ত, কবীর শিরাওয়ানী, আদিত্য দে, কোষাধ্যক্ষ ঝুমনা দে।
আমাদের কাজ এবং লক্ষ হলো
১, সুন্দরবনের মহিলা ও ছাত্রীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ‘নিয়মিত রক্তাল্পতা পরীক্ষা’, ‘চিকিৎসা’ ও ওষুধ প্রদান।

২,সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীর ঘাটে ঘাটে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক, মুটিয়া-মজদুর, মাঝি-মাল্লার ও তাদের পরিবারকে ‘নদীর ঘাটে শ্রেণীর পাশে’ কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রতিমাসে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা।

৩,ঝড়-বন্যায় আক্রান্ত সুন্দরবনবাসীকে ত্রাণ দেওয়া ও সুন্দরবনের নদীবাঁধকে রক্ষা করার আন্দোলনকে তীব্রতর করা।

৪,সুন্দরবনের বাইরেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির পরিচালনা করা।

৫,কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যাপকহারে কর্মসংকোচনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা।
সব মিলিয়ে কিছু সমাজসেবী মানুষকে পাশে পেয়ে, সকলের সাহায্য নিয়ে এবং তাদের সাথে নিয়ে একটু একটু করে কেয়ার সুন্দরবন নানা ধরনের সামাজিক কাজ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির করে চলেছেন সারা সুন্দরবন জুড়ে।

Related News