কলকাতা উদযাপন করল এক চমকপ্রদ শাস্ত্রীয় নৃত্য উৎসব—”নৈবেদ্য” কাথক উৎসবের দ্বিতীয় সংস্করণ। বিখ্যাত সিতার সুরকার সন্দীপ নেওগী-এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে অংশ নেয় ১০৮ জন বিশিষ্ট শিল্পী, যাদের মধ্যে ছিল তরুণ প্রতিভা, প্রখ্যাত বয়োজ্যেষ্ঠ শিল্পী এবং আন্তর্জাতিক মানের পারফর্মার।

নব ঘন্টার এই মহাযজ্ঞ দর্শকদের মুগ্ধ করেছে একক, যুগল এবং দলীয় কাথক পারফরম্যান্স দিয়ে, যেখানে প্রচলিত বলস, থুমড়ি এবং গজল ব্যাখ্যা অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় নটারাজ মূর্তির সামনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে, যা আনুষ্ঠানিক ও আধ্যাত্মিক পরিবেশ সৃষ্টি করে।

বিশেষ আকর্ষণ:
বিদূষী মধুমিতা রায় উপস্থাপন করেন “সারথি” থিমের পারফরম্যান্স
অলকপর্ণা গুহ “গাছ” থিমের উপর একটি ভাবপূর্ণ নৃত্য উপস্থাপন করেন
সন্দীপ মাল্লিক ঘুঙরুর সঙ্গে, প্রচলিত তাল ছাড়া একটি অভিনব পারফরম্যান্স প্রদান করেন
প্রয়াত প্রতীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে দুই মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়
একক পারফরম্যান্স:
বিদূষী মধুমিতা রায়, সন্দীপ মাল্লিক, অলকপর্ণা গুহ, অনুষ্কা ঘোষাল, সোনাক্ষী পাত্র, অত্রিজা চ্যাটার্জী, পলোমী গুহ, অদ্রিজা দাস, প্রিয়া রায়, সুপ্রভা মুখার্জী, সুদত্ত সাহা, পলোমী বসু, ড. মানব পারাই, সুশিস্মিতা দত্ত

যুগল পারফরম্যান্স:
অভিপ্রিয়া বসু & শ্রেষ্ঠ কার, উজ্জয়িনী চট্টোপাধ্যায় & উপলাব্ধি দে, শ্রীয়াঙ্কা মালি & প্রসেনজিৎ মজুমদার, তন্বিশা চক্রবর্তী & অনন্যা মণ্ডল, সুমিতা চ্যাটার্জী & ড. দেবাস্মিতা মুখার্জী, সঙ্গীতা চাকি & সাহেলী বোস, দেবাংশু মণ্ডল & এমলি ঘোষ
দলীয় পারফরম্যান্স:
সাংস্কৃতি পোরেল, শকশি শর্মা, স্বপনজা গিরি, ঋতজা নাথ (ড. মালবিকা মিত্র-এর শিষ্য, ভারত), স্নিগ্ধা চক্রবর্তী মণ্ডল & দল, প্রীথা বসু & দল, দেবজিত সরকার & দল, নন্দিনী চক্রবর্তী & দল, মৌসুমী গাঙ্গুলী & দল, অঞ্জু ভট্টাচার্য & দল
সঙ্গীত শিল্পী:
কণ্ঠ: সুভাষিস ভট্টাচার্য, কাবেরি দত্ত মজুমদার, জয়দীপ সিনহা
তবলা: সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য, সুবীর ঠাকুর, বিষ্বজিৎ পাল, অমিতাংশু ব্রহ্ম, অভিজিৎ বসু
সরাঙ্গী: কমলেশ মিশ্র
সিতার: সন্দীপ নেওগী
অঙ্কার: পল্লব বিষ্ণু, তুহিন মহাপাত্র
সহযোগী: প্রকাশ তিওয়ারি, সুশ্মিতা নেওগী, স্পন্দন নেওগী, বাবুল চক্রবর্তী, শ্রেয়শী চক্রবর্তী, আহানা চক্রবর্তী, তন্ময় দত্ত, সন্দ্যা দত্ত, মিনি কান্তি, অলক কুমার কান্তি
নৈবেদ্য ২০২৫-এর সাফল্য কেবল দর্শকদের মুগ্ধই করেনি, বরং কলকাতার শাস্ত্রীয় কলার কেন্দ্র হিসেবে মর্যাদা আরও দৃঢ় করেছে।





