Select Language

[gtranslate]
২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বৃহস্পতিবার ( ১৩ই মার্চ, ২০২৫ )

সম্পত্তি বিবাদে সামাজিক বয়কট, জলহীন কৃষক পরিবারে চরম সংকট

সম্পত্তির বিবাদের জেরেই সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়েছে এগরা ১ ব্লকের বর্তনা  এক পরিবারকে। এমনই অভিযোগ ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বয়কটের জেরে চাষের জমিতে জল পাচ্ছে না দরিদ্র কৃষক পরিবার। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তনা গ্রামের ঘটনা। জানা গেছে ঐ গ্রামের বাসিন্দা ছবি রানী মাইতির এক প্রতিবন্ধী বোন মারা যাওয়ার আগে ৫ ডেসিমিল জায়গা বোন ছবিকে দিয়ে যায়। পরবর্তীকালে সেই জমির উপর নজর পরে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দেবাশীষ মাইতির। তিনি এবং তাঁর অনুগামীরা ছবিরানী মাইতির উপর চাপ সৃষ্টি করে ঐ জমির মালিকানা ছেড়ে দেওয়ার জন্য। আর তাতে রাজি না হওয়ায় সামাজিক বয়কটের শিকার হয়েছে পুরো পরিবারকে। এমনকি চাষের জমিতে জল পর্যন্ত বন্ধ করে রেখেছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এমন অভিযোগ আনছেন কৃষক পরিবারের সদস্যরা। বার বার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, মহকুমা শাসক, জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে ছবিরানী মাইতি। এর আগে একবার ব্লক প্রশাসন ও থানার উদ্যোগে উভয়পক্ষকে রেখে আলোচনা করার পরে বয়কট তোলার নির্দেশ দেন বিডিও। কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি কিছুদিনের মধ্যে সমস্যা ও হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ঐ পরিবারকে। এদিন গৃহকতৃ ছবিরানী মাইতি বলেন বহুবার বহু জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি, আমাদেরকে গ্রামের লোকেদের সাথে মিশতে দেওয়া হয়না, চাষের জন্য জল দেওয়া হয়না, এলাকায় মেলা, পূজো সহ কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেওয়া হয়না। এমনকি যদি কেউ ঐ কৃষক পরিবারের সাথে মেলা মেসা করে তাকেও গ্রাম থেকে বয়কট করার হুঁশিয়ারী ও দেওয়া হয়। এই সব কিছু হচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দেবাশিস মাইতির আঙ্গুলিহেলনে। এবছর যদি চাষের জমিতে জল না পাই আমরা পুরো পরিবার স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে বাধ্য হবো। তবে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সিদ্ধেশ্বর বেরা বলেন, বয়কট সংক্রান্ত বিষয়টি গত বছর বিডিও সাহেবের সামনে মীমাংসা হয়ে গেছিলো। এই মুহূর্তে কোনো বয়কট নাই। জল না পাওয়ার একটি অভিযোগ ছিল। কিন্তু বিভাস মাইতি নামের যে ব্যক্তি জমিতে জল দেয় তাঁকে আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা সম্ভব হয়নি। সামনের সপ্তাহে উভয়পক্ষকে রেখে স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান।

তবে এই ঘটনায় বিজেপির যুবমোর্চার জেলা সম্পাদক অমলেশ পাহাড়ী বলেন, তৃণমূলের আমলে এর থেকে আসা করা যায়না। CPIM যেখানে শেষ করেছিল শেখান থেকে তৃণমূল শুরু করেছে। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও এই বর্বরতা চলছে। কারণ তৃণমূল মাফিয়ারাজ করছে। আর এগরার বিধায়ক একদিকে শিক্ষক আর একদিকে মাফিয়া তাঁর নেতৃত্বে সিদ্ধেশ্বর বেরা ও তাঁর অনুগামীরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই সব করছে। মানুষ দুঃখে যন্ত্রনায় আছে। তবে কবে এই বর্বরতা থেকে কৃষক পরিবারটি মুক্তি পাবে তাঁর আশায় দিন গুনছেন পুরো পরিবার।

Related News