গরি ব মেহনতী মানুষের মুক্তি আন্দোলনের পথের দিশারী মহামতি লেনিন প্রয়াণ শতবর্ষ উপলক্ষে আজ প্রগ্রেসিভ কালচারাল এসোসিয়েশন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে তমলুক শহরের হাসপাতাল মোড়ে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমবেত এবং একক সংগীত, আবৃত্তির কোলাজ, লেডি গ্রেগরির বিখ্যাত নাটক ‘দি রাইজিং মুন’ অবলম্বনে রাশিয়ার নভেম্বর বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে রচিত পথনাটক ‘ভবঘুরের জবানবন্দী’ এবং লেনিনের উপর একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। তরুণ চিত্র শিল্পী সায়ন পাত্র শ্রমিকদের দুর্দশার একটি ছবি আঁকেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত পাড়ই, সংস্থার জেলা আহ্বায়ক মঞ্জুশ্রী মাইতি এবং অনুপ মাইতি।
মঞ্জুশ্রী জানান আজকে যখন গোটা দেশে বুভুক্ষা, বেকারত্ব তীব্র হচ্ছে, নারীর মর্যাদা প্রতিদিন ভুলুন্ঠিত, চাষী আত্মহত্যা করছে সেই সময় লেনিন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি চরিত্র। তিনি মার্কসবাদী বিজ্ঞান হাতিয়ার করে রাশিয়ার বুকে জার সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং রাশিয়া থেকে ক্ষুধা বেকারত্ব শুধু দূর করেন নি – শিল্প-সংস্কৃতি -বিজ্ঞান -শিক্ষা -চিকিৎসা সমস্ত ক্ষেত্রেই এক অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে মহান স্ট্যালিনের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছিল। আমাদের দেশের বরেণ্য মনীষীগণ বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথ যা দেখে তার ‘জীবনের শ্রেষ্ঠ তীর্থ দর্শন’ বলে অভিহিত করেছিলেন। আমরা সেই সমাজের আকাঙ্ক্ষা অনুভব করি। আমাদের দেশেও এরকম একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি। তার জন্য পরিপূরক শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চার প্রয়োজন অনুভব করি। তাই আজকের এই অনুষ্ঠান। আশা করি দেশবাসী এই সংস্কৃতির মধ্যে নিজেকে সম্পৃক্ত করবেন এবং আগামী দিনে সেরকম সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা সমবেত হবেন।

