Select Language

[gtranslate]
১২ই পৌষ, ১৪৩১ শুক্রবার ( ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ )

।। কৃষ্টি ক্রিয়েশান এর উদ্যোগে বাংলা একাডেমিতে ” কৃষ্টি কিরণে “।।

ইন্দ্রজিৎ আইচ

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমি হল ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ।
কৃষ্টি ক্রিয়েশান এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এইদিন এক মনোজ্ঞ
অনুষ্ঠান ” কৃষ্টি কিরণে “।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কাব্যতীর্থর পরিচালনায় কচি কাচার দল কবিতায় আসর মাতায়। পরিচালনায় ছিলেন কুহেলী ব্যানার্জী।


এরপর ছিলো এই সন্ধার মূল আকর্ষণ এক অসাধারণ আলোচনা সভা। বিষয় ছিলো
” ডিজিটাল মাধ্যম ও বাংলা সাহিত্য চর্চা ” ।

অংশ নেন কবি ও অধ্যাপক সুবোধ সরকার, কবি ও নাট্যকার ড: দেবেশ ঠাকুর এবং আইনজীবী ও লেখক জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে কবি সুবোধ সরকার বলেন মোবাইল নামক এই যন্ত্র এসে আমাদের সবকিছু পাল্টে দিয়েছে। যেন মনে হচ্ছে মোবাইল আসার আগে এতদিন কোনো কাজ হয়নি বা কোনো উপকার পায়নি। মোবাইল কিন্তু একটা সায়েন্স এর অবদান মাত্র। যতই এই যন্ত্র আমাদের নিয়ন্ত্রণ করুক, যতই ডিজিটাল মাধ্যম আসুক বই পড়া, এই লেখালেখি
এবং বাংলা সাহিত্য কে বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদের ও অভিভাবকের।


আইনজীবি ও লেখক জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন যুগের সঙ্গে রূপের পরিবর্তন হয়েছে। আগে গরুর গাড়ির চাকা তৈরি হতো বাংলায়।এখন প্লেনের চাকা তৈরি হয় তেমনই আগে আমরা রেডিও শুনতাম এখন মোবাইল এ সব কিছু করি, শুনি, দেখি। কিন্তু ডিজিটাল ই সব নয়। বাংলা বই উপহার দেওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এর জন্যে আমরা দায়ী। সবাই আমরা বই কিনে বই উপহার দিতে যদি পারি বা লাইবেরি অথবা বাড়িতে নিয়মিত যদি বই পড়ি তাহলে বাংলা সাহিত্য চর্চা আরো বাড়বে। কবি ও নাট্যকার ড: দেবেশ ঠাকুর বলেন ডিজিটাল জগৎ এগিয়ে যাচ্ছে যাক। কিন্তু আমাদের মন যেন গ্রাস করে না নেয় সেদিকে নজর দিতে হবে। মোবাইলে অনেক মন্দ জিনিস আছে, সেই গুলোর অপপ্রয়োগ না করে বাংলা ভাষা ও বই কে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমার – আপনার ও আমাদের সকলের।মঞ্চে সকল অতিথিদের হাতে স্বারক ও উপহার তুলে দেন কৃষ্টি ক্রিয়েশান এর কর্ণধার শ্বেতা গুপ্তা। এরপর পরিবেশিত হয় কবিতা আলেখ্য
শতবর্ষে অগ্নিবীণা – নজরুল বিয়ন্ড রুলস আয়না। পরিচালনায় আছেন ড: দেবেশ ঠাকুর।কাজী নজরুল ইসলাম এর লেখা বিদ্রোহী কবিতা ও অগ্নিবীণা র ১০০ বছর উপলক্ষে এই নিবেদন টি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সবশেষে পরিবেশিত হয় কাব‍্যাঙ্গন এর শিল্পীদের সমবেত আবৃত্তি।
পরিচালনায় ছিলেন সোমা কাঞ্জিলাল। সঞ্চালনায় ছিলেন শুভদীপ দে। পুরো অনুষ্ঠানটি এক কথায় অনবদ্য হয়ে ওঠে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি ভাবনা – পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন কৃষ্টি ক্রিয়েশান এর প্রধান শ্বেতা গুপ্তা।

Related News

Also Read