অন্তলীলায় ঠাকুরের দুটি প্রিয় ফলের খবর পাওয়া যাচ্ছে।কাশীপুরে একদিন তাঁর ইচ্ছা হল জামরুল খাবেন।লাটু মহারাজ জানাচ্ছেন,তখন শীতের শেষ,জামরুল পাওয়া যায় না।কলকাতার বাজারেও জামরুল পাওয়া গেলনা।একজন ভক্ত কিন্তু সেইদিনই কোন এক বাগানে জামরুল ফুল দেখতে পেয়ে শশীকে(পরে স্বামী রামকৃষ্ণানন্দ)জানালেন।
শশী সেই দিনই সেই বাগান থেকে জামরুল পেড়ে নিয়ে এলেন।ঠাকুর অবাক হয়ে বললেন,’এমন সময় জামরুল কোথায় পেলিরে’?
এপ্রিল মাসের শেষের দিকে কাশীপূরে এসে ভক্ত নাগমহাশয় শুনলেন,ঠাকুরের আমলকি খাওয়ার খুব ইচ্ছে হয়েছে।ঠাকুরের প্রিয় এই মুখশুদ্ধি সংগ্রহ করে নাগমহাশয় হাজির।
তিনদিন ধরে নাগমহাশয় কলকাতার সব বাজার খুঁজেছেন,স্নান করেননি, খাননি,এমনকি,ভালো করে ঘুমোননি।সেই আমলকি হাতে করে ঠাকুরের কি কান্না।শ্রীমাকে বললেন,’ঝাল দিয়ে একটা চচ্চরি রেঁধে দাও।ওরা পূর্ববংগের লোক,ঝাল বেশি খায়।’
Post Views: 16