দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাইক চুরির ঘটনা হামেশাই শোনা যায়।পুলিশ বহু চেষ্টা করলেও বাইনচোদ বা চুরি যাওয়া বাইক দু একটি উদ্ধার করেল ও বেশি উদ্ধার করতে পারেনি। শোনা যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে রয়েছে বহু পুরনো বাইকের শোরুম। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ বাইক কেনাবেচা করে এখানে। খুব সস্তায় কেনে বহু মানুষ বাইক কেনে। দীর্ঘদিন ধরে কাঁথি থানায় একাধিক বাইক চুরির অভিযোগ আসছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এবার বড়সড় সাফল্যে নজির গড়ল কাঁথি মহকুমা পুলিশ। প্রায় ১০ টি বাইক উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেফতার করে ২ দুষ্কৃতীকে। তদন্ত প্রক্রিয়ার কারণে এই দুজনকে, নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় কাঁথি থানার পুলিশ। পুলিশ সূএের খবর, গত কয়েক মাস ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় একের পর এক বাইক চুরি হচ্ছিল। এনিয়ে কাঁথি থানা সহ একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ পরিকল্পনা করে। পুলিশ অভিনব কৌশলে বাইক চোরদের ধরতে একটি ফাঁক পাতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে একটি পুরনো বাইক কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেন। বাইক কোনার জন্য ১০ হাজার টাকা দেবো বলে ঘোষণা করেন। পুরনো বাইক কেনার জন্য অগ্রিম বাবদ ১ হাজার টাকা দেন। পরে কাঁথি পিছাবনি এলাকায় বাইক নিয়ে হাজির হয় কালিন্দী গ্রামের প্রসেনজিৎ জানা। কাঁথি থানায় টাউন অফিসার গৌতম সাঁতরার নেতৃত্বে সাদা পোশাকে পুলিশ বাহিনী অভিযুক্ত যুবককে পাকড়াও করে একটি বাইক বাজেয়াপ্ত করেন। অভিযুক্ত’কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে আন্ত:রাজ্য পাচার চক্রের হদিশ পায়। দেরি না করেই সোজা রামনগরের দেউলি বাংলা বাইক গ্যারেজে চলে যান। আন্ত:রাজ্য বাইক পাচার চক্রের মূলপাণ্ডা অর্থাৎ গ্যারেজ মালিক হুগলি জেলার খানাকুলের বাসিন্দা সৈকত সামন্ত’কে গ্রেফতার করে।
গ্যারেজ থেকে ১০ টি বাইক বাজেয়াপ্ত করে। হুগলি খানাকুলের বাসিন্দা হলেও দেউলী বাংলাতে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতো বলে জানা গেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, বিভিন্ন মেলা ও অনুষ্ঠানে একাধিক বাইকে চাবি নিয়ে পৌঁছে যেত সৈকত সামন্ত। এরপর সেখান থেকে একটি বাইকের চাবি খুলে সোজা গ্যারেজে নিয়ে চলে আসতো। চুরি বাইক বিক্রি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতো প্রসেনজিৎ জানা। ধৃতদের বুধবার কাঁথি মহাকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) শুভেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন দুষ্কৃতকারীদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এর মাধ্যমে তদন্ত করা হচ্ছে। এর মূল পান্ডাকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।আন্তরজ্যচক্র কে ধরার জন্য পুলিশ ভূমিকা গ্রহণ করছে। রাজ্যজুড়ে এর তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।