প্রদীপ কুমার মাইতি :- সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ১ নম্বর ব্লকের সমুদ্র উপকূলবর্তী পাদিমা এক অঞ্চলের মেদিনীপুর গ্রামে ধরা পড়লো সাকার মাউথ ক্যাটফিশ। এমন বিচিত্র মাছ দেখার পরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সাকার মাউথ ক্যাটফিশ। বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকোসটোমাস। অ্যাকুরিয়ামে শোভাবর্ধনকারী হিসেবে রাখা হয় বিদেশি প্রজাতির এ মাছটিকে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ডোবা-নালাসহ বিভিন্ন জলাশয়ে হামেশাই দেখা মিলছে মাছটির।
দ্রুত বংশ বিস্তারকারী মাছটি জলজ পোকামাকড় ও শ্যাওলার পাশাপাশি ছোট মাছ এবং মাছের পোনা খেয়ে থাকে। তাছাড়া সাকার ফিশের পাখনা খুব ধারালো।এই মাছের ধারালো পাখনার আঘাতে সহজেই অন্য মাছের দেহে ক্ষত তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে পচন ধরে সেগুলো মারা যায়।
সাকার ফিশ রাক্ষুসে প্রজাতির না হলেও প্রচুর পরিমাণে খাবার ভক্ষণ করে। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছের সঙ্গে খাদ্যের জোগান নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে না বিলুপ্তির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছের।
মাছ চাষীরা অভিযোগ করেন, তাদের ঘেরে এই মাছ ঢুকে পড়ে চাষের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। এর ব্যাপক বিস্তার ঘটলে দেশীয় প্রজাতির মাছ হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মৎস্য গবেষকরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাকার ফিশের প্রভাবে মায়ানমার ও আরব আমিরাতের মৎস্য চাষীরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে।
মৎস্য দপ্তরের আধিকারীদের সাথে যোগাযোগ করলে ওনারা বলেন সাধারণত এগুলো অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা হয়। কোনভাবেই জলাশয়ে ঢুকে পড়েছে।

