প্রদীপ কুমার সিংহ
৩৫০ বছরের বারইপুর রায় চৌধুরী বাড়ির রাস উৎসব শুরু হল বারুইপুর রাস মাঠে। রায়চৌধুরীর বাড়ি স্টেটের সদস্য বলেন এই রাস উৎসব ৩৫০ বছরের পুরাতন।এই রাস উৎসব শুরু হয় কালী পূজার ১৫ দিন বাদে যে পূর্ণিমা হয় তাতেই রাস পূর্ণিমা বলে আর সেদিনকেই রাস পূজার উৎসব শুরু হয় বারুইপুর চৌধুরী পরিবারের। রায়চৌধুরী বাড়ি জমিদার বাড়ি এই রাস পূজা হতো। রাস পূজা ঐতিহ্যটাকে এখনো ধরে রেখেছেন। এই রাস উপলক্ষে তিন দিন তিনটি বেশ হয়, প্রথম দিন রাখাল বেশ দ্বিতীয় দিন নটোবর বেশ ও তৃতীয় দিন রাজ বেশ রাজ বেশ হয়। মঙ্গলবার রাসের প্রথম দিন ঠাকুরকে রায় চৌধুরী বাড়ির নাট মন্দিরে থেকে সিংহাসনে কৃষ্ণ ও রাধা কে রাখাল ভেসে রাস মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয় বৈকালে প্রথমে পুতুল নাচ হতো সেই যেহেতু পুতুল নাচ খেলা অবলুপ্ত হয়ে গেছে তাই হাতে দড়ি টানা পুতুল নাচ দেখানো হয়।

এই পুতুল নাচের মাধ্যমে রামায়ণ-মহাভারতের গল্প দেখানো হয়। সন্ধ্যা আরতি হয় এরপর তরজা তারপর রাস লীলার কীর্তন হয় ও যাত্রা অনুষ্ঠান হয়, শেষে আতশবাজি প্রদর্শিত হয়। পুতুল নাচ, তরজা যাত্রা দেখার জন্য গ্রামে গঞ্জে থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা রায় চৌধুরী পরিবারের রাসমঞ্চের কাছে ভিড় করে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছিল তা বুধবার ভোর রাত্রে পর্যন্ত চলে। মঙ্গলবার রাজ পূর্ণিমা উপলক্ষে রাসমঞ্চে পূজা হয়। এই রাস উপলক্ষে এক মাস ব্যাপী এ রাস মাঠে মেলা বসে , সেই সঙ্গে রাসের মূল আকর্ষণ থাকে যে সার্কাস এবার সেই সার্কাস বসেছে।
এই মেলা উপলক্ষে মানুষের সারা বছরের জীবিকা অর্জন করে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা তথা জেলা তথা কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার মানুষ এখানে এই রাজ উৎসব দেখতে রাজ মাঠে ভিড় করে। এই মেলায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পসরা নিয়ে বসে। বাচ্চাদের এন্টারটেনমেন্ট করার জন্য বিভিন্ন রাইট এবার বসেছে। নাগরদোলা ট্রয় ট্রেন, হাম্পিং জাম্পিং শিশুদের এন্টারটেইনমেন্ট খেলা সহ বিভিন্ন বসেছে। বাদাম জিলাপি বিভিন্ন মিষ্টি কটকটি গজা বিভিন্ন মিষ্টির দোকান বসে সেইসঙ্গে লোহার ছুরি-কাঁচি বটি হাতুড়ি সহ কাঠের খাট,আলমারি, বেঞ্চি, টেবিল,চেয়ার, সংসারের বিভিন্ন জিনিস সহ বাচ্চাদের খেলা প্লাস্টিকের বালতি প্রভৃতি ব্যবসা নিয়ে বসে ব্যবসায়ীরা। এক কথায় অনবদ্য একমাস ব্যাপী এই মেলা চলে।





