সরকারী চাকুরীর ব্যাবস্থা করে দেবার নাম করে বেকার যুবক-যুবতীদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠলো এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আরো অভিযোগ টাকা নিলেও চাকুরীর ব্যাবস্থা না করে দিনের পর দিন ধরে ঘুরিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক। হতাশ যুবক-যুবতী টাকা ফেরৎ চাইতে গিয়েও হেনস্থার মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ
। প্রতারক এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার কলকাতা উচ্চ আদালতে মামলা করলো প্রতারিতরা। অভিযুক্ত শিক্ষক পূর্ব মেদিনীপুরের বিচুনিয়া জগন্নাথ বিদ্যামন্দিরের ইংরেজির শিক্ষক দীপক জানা। স্বাভাবিক কারনে এর জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পৌর এলাকার ১৭নং ওয়ার্ডের করকুলির বাসিন্দা দীপক জানা ।২০১৮ সাল থেকে কাউকে গ্রুপ ডি, কাউকে গ্রুপ সি, প্রাথমিক, কাউকে আবার উচ্চ প্রাথমিক বা নবম-দশমে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা তুলেছেন। কিন্তু চাকরি হয়নি। এরপরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেন প্রতারিতরা।
আদালতের কাছে প্রতারিত যুবক-যুবতীরা জানিয়েছেন আগেই তাঁরা পুলিশে অভিযোগ করেছে। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা মেলেনি।অভিযুক্ত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসন কোন ব্যাবস্থা নেয়নি ।
এবার তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে বিচুনিয়া জগন্নাথ বিদ্যামন্দিরের ইংরেজির শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে তদন্তের আবেদন জানালেন চাকরিপ্রার্থী প্রতারিতরা। নিজেদের আবেদন নিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দ্বারস্থ হন প্রতারিতরা। অভিযোগ দায়েরের অনুমতি দিয়েছে আদালত। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।