Select Language

[gtranslate]
২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ শনিবার ( ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৫ )

ঢেংবহড়া হাইস্কুলে বনসৃজন বিষয়ক আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ


পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লক জঙ্গলাকীর্ণ হলেও, বর্তমানে শিল্পাঞ্চল, রাস্তাঘাট নির্মাণ, জনবসতির বৃদ্ধি ও জঙ্গল কেটে চাষযোগ্য জমি অধিগ্রহণের কারনে মোট বনভূমির পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পেতে চলেছে। জঙ্গলের পূর্বাবস্থা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্যদের উদ্যোগে। সরকারী ভাবে অরণ্য সপ্তাহ শেষ হলেও, বর্ষাকালের কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবার অরণ্য সপ্তাহ পালনের উদ্যোগ নিলো শালবনী ব্লকের অন্তর্গত ঢেংবহড়া শশীভূষণ উচ্চ- বিদ্যালয় (উঃ মাঃ)। বিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের দ্বিতীয় পর্বে প্রাথমিক ভাবে বৃক্ষরোপণ ও বনসৃজনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সকল সকল ছাত্র-ছাত্রী এই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার ভট্টাচার্য ছাত্র ছাত্রীদের বছরে দশটি করে চারাগাছ লাগানোর ও তাকে লালন করে বড় করে তোলার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি বংশীধর দাস। তিনি বলেন “‘ছাত্র ছাত্রীরাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম। পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ে ওদের এগিয়ে আসতে হবে।” অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিকটবর্তী গোদাপিয়াশাল হাইস্কুলের পরিবেশপ্রেমী শিক্ষক মণিকাঞ্চন রায়। তিনি বলেন ‘একটি গাছ সুস্থ পরিবেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি গাছ লাগিয়ে তাকে মণীষীদের নাম দিয়ে লালন করে বড় করে তুলতে হবে।’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের এলাহিয়া হাই মাদ্রাসার শিক্ষক , চিত্রশিল্পী নরসিংহ দাস। তিনি বলেন- বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র বজায় রাখতে পারে শুধুমাত্র গাছ।’ আলোচনা শেষে মণিকাঞ্চন বাবু একটি অমলতাস গাছের চারা উপহার হিসেবে তুলে দেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির হাতে। আলোচনা শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অমলতাস, পলাশ ও দেবদারু গাছ রোপন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে পরিচালনা করেন ঐ বিদ্যালয়ের জীববিদ্যা বিষয়ের শিক্ষিকা সিমকি সাঁতরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরণ্য সপ্তাহ পালনের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিদ্যালয়ের ভূগোল বিষয়ের শিক্ষিকা মুনমুন মিদ্যা সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।

Related News

Also Read